জেলার বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের ওপর হামলা অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া বিএনপির ক্যাডাররা অস্ত্রের মুখে সূতা ভর্তি ট্রাক ছিনতাই করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার ভোরে একদল সশস্র সন্ত্রাসী দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত লক্ষ্মীনারায়ণ আখড়ার সাইনবোর্ড ও জানালা লক্ষ্য করে গুলি করে। সন্ত্রাসীরা পরে মন্দিরের সঙ্গে অবস্থিত লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রমে গুলি করে। প্রায় একই সময়ে একদল সন্ত্রাসী শহরের গলাচিপা এলাকায় অবস্থিত রামকানাই জগন্নাথ জিউর মন্দিরে হামলা চালায় এবং এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করে। না.গঞ্জ কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের কার্যালয় এখানে অবস্থিত। দুটি ঘটনাতে কেউ অবশ্য আহত হয়নি। এদিকে সংখ্যালঘুদের ওপর সশস্র হামলা হলেও স্থানীয় পুলিশ এ ব্যাপারে রহস্যজনক নীরবতা পালন করছে। ভোরে ঘটনা ঘটলেও রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কোন কার্যকর ভুমিকা নেয়নি। সারা দিন অসংখ্যবার চেষ্টা করেও থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। আখড়ার সেবায়েত রাজেন্দ্র প্রাসাদ ঝা বলেছেন ,সন্ত্রাসীদের এই হামলায় এ এলাকায় বসবাসকারী হাজার হাজার হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের মাঝে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে সন্ত্রাসীদের তিনি চিহ্নিত করতে পারেননি বলে জানান। তারা কয়েক রাউন্ড গুলি করে। স্থানীয় বিএনপির সশস্র ক্যাডাররা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভোরের কাগজ, ৪ অক্টোবর ২০০১

মন্তব্য করুন