নারায়ণগঞ্জ বন্দর গার্লস অ্যান্ড কলেজের বাংলা শিক্ষকের অব্যাহত ধর্ষণে বাকপ্রতিবন্ধী এক কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার।

 

বন্দর গার্লস অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

কিশোরীর বাবা বলেন, কয়েকদিন ধরে বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েটি আমার অসুস্থ হয়ে পড়ে। কোনো উপায় না দেখে প্রাইভেট একটি হাসপাতলে ডাক্তার দেখাই। ডাক্তার জানায়, মেয়ের অন্য কোনো রোগ নেই, সে মা হতে চলেছেন (মানে গর্ভবতী)। এমন কথা শুনে আমার মাথায় আসমান ভেঙে পড়ে। পরে মেয়ের কাছ থেকে জানতে পারি কয়েক মাস আগে পাশের রুমে থাকা গার্লস অ্যান্ড কলেজের বাংলা শিক্ষক তাকে ধর্ষণ করেছে।

বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষকের পক্ষে এলাকার কয়েকজন আমাকে মীমাংসার প্রস্তাব দিচ্ছে। কিন্তু স্যারকে ফোন করার পর সে আমার ফোন ধরেনি ।  তিনি আরো বলেন, মান-সম্মানের কথা চিন্তা করে সামাজিকভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা চলছে ।

গার্লস অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. বদরুলজ্জামান বলেন, ধর্ষণের বিষয় আমার জানা নেই। তবে কলেজ এমপিভুক্ত হয়েছে, এ বিষয় তাকে আমি ফোন করেছিলাম আসতে, সে আসেনি। তার কাজটি আমি নিজেই সেরে দিয়েছি।

বন্দর থানার ওসি  (তদন্ত) আজাহারুল ইসলাম জানান, ধর্ষণ বা অন্তঃসত্ত্বার বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি, পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডেইলি বাংলাদেশ

মন্তব্য করুন