নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরশহরে কালী বাড়ি মন্দিরে চুরির সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ইউসুফ আলীকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্গাপুর থানা পুলিশ।
২৪ জুন বুধবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে বিজ্ঞ বিচারক জামিন না মঞ্জুর জেল হাজতে প্রেরণ করে। বিজ্ঞ আদালত এ ঘটনায় আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেন। সেখানে এ দুঃসাহসিক চুরির সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন।
পুলিশ ও ঘটনার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার পৌরসভার কালী মন্দিরে শনিবার (২০ জুন) দিবাগত ভোর রাতের কোনো এক সময় মন্দিরের ভেতরে দেবীর গায়ে পরানো স্বর্ণালঙ্কার ও তিনটি প্রণামী বাক্স ভেঙে টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।
গত রবিবার (২১ জুন) ভোরে পুরোহিত গৌতম চক্রবর্তী পূজা অর্চনার জন্য গেলে মন্দিরে এ ঘটনা দেখতে পান। ঘটনার পরদিন নেত্রকোনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফখরুদ্দীন জুয়েল, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাহমুদা শারমীন নেলী, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান সাথে সাথেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন । উপস্থিতদের কাছ থেকে চুরির ঘটনার রহস্য উন্মোচনে চব্বিশ ঘণ্টা সময় চেয়ে নেন। ঘটনার বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যে কালী মন্দিরে চুরি হয়ে যাওয়া রৌপ্য ও স্বার্ণালংকারসহ সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে পৌর সদরের কলেজ রোড় এলাকার সুরুজ আলীর পুত্র রাজমিস্ত্রির সহকারি ইউসুফ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কালীবাড়ি মন্দির কমিটির সভাপতি চুরির রহস্য উদঘাটনে সন্তোষ প্রকাশ করে শ্রী রঞ্জিত সেন এই প্রতিবেদককে জানান, পুরোহিত চুরির ঘটনা জানালে মন্দিরে এসে দেখতে পান দেবীর গায়ের স্বর্ণ ও রূপার গহনা নেই এবং মন্দিরে স্থাপিত তিনটি প্রণামীর বাক্স ভেঙে কে বা কারা টাকা নিয়ে গেছে। থানায় একটি মামলা করেছি। মন্দির কমিটি পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকায় খুব খুশি।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান প্রতিবেদককে জানান, পৌর সদরে কালী মন্দিরে চুরির ঘটনাটি একটি কৌশলী চোর চক্রের অংশ। ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযুক্তকে অল্প সময়ে একজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।