নেত্রকোনা সদর উপজেলার সিংহের বাংলা ইউনিয়নের কান্দুলিয়া গ্রামে গৃহবধূকে (২৮) ধর্ষণের অভিযোগে বিশ্বজিত খান (৩২) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ২৮ ডিসেম্বর সোমবার রাতে তাকে আটক করা হয়।

 

পরে ২৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার কান্দুলিয়া গ্রামের বিশ্বজিত খানের চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী ওই গৃহবধূ। তাদের বাড়ি পাশাপাশি। ২০১৬ সালে ওই গৃহবধূ গোসলের সময় বিশ্বজিত কৌশলে তার নগ্ন ভিডিও মোবাইলে ধারণ করেন। পরে বিশ্বজিত সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশের ভয় দেখিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। এসময় ধর্ষণের ভিডিও বিশ্বজিত মোবাইলে ধারণ করেন। এরপর বিভিন্ন সময় ভয় দেখিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে আসছিলেন তিনি। সম্প্রতি বিশ্বজিত আবারও গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিলে তিনি তাতে রাজি হননি। পরে ওই ভিডিও গৃহবধূর স্বামীর মেসেঞ্জারে পাঠিয়ে দেন বিশ্বজিত। এ ঘটনায় গত সপ্তাহে ওই নারী নেত্রকোনা মডেল থানায় বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে সোমবার রাতে বিশ্বজিতকে তার বাড়ি থেকে আটক করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা মোবাইলে ওই ভিডিওটি পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে গৃহবধূ বাদী হয়ে বিশ্বজিত খানের বিরুদ্ধে নেত্রকোনা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। আটক বিশ্বজিতকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

নেত্রকোনা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার বিশ্বজিতকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সমকাল

মন্তব্য করুন