জেলার বিভিন্নস্থানে আওয়ামী লীগের সমর্থক বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বিএনপি কর্মীদের আক্রোশের শিকার হচ্ছেন। গত দুদিনের এজাতীয় একাধিক ঘটনায় প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। এদের তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তির খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে, গতকাল বুধবার ভোরে সদর উপজেলার বিজয়নগর ঘোষপাড়ায় বিএনপি কর্মী ও এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী তোতা ও সলেমানের নেতৃতে একদল সন্ত্রাসী কয়েক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে বেধড়ক মারধর করে। একটি গ্রুপ আওয়ামী লীগ কর্মী সুব্রতকে বাড়িতে না পেয়ে তার বাবা সুভাষ ঘোষ (৫০)’র ভাই আবাসকে লোহার রড হকিস্টিক দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। অপর গ্রুপ বিমল ঘোসের বাড়িতে গিয়ে তাকে ও তার ছেলে অপরূপকে মারধর করে। এরা এলাকায় উত্তম ঘোষের দোকানে হামলা চালায় এবং বৃদ্ধ চিত্ত ঘোষকে প্রহার করে। সকাল ৮টার দিকে সুব্রতর কলেজ পড়ুয়া ভাই আবিরকে কলেজে যাওয়ার পথে হকিস্টিক দিয়ে প্রহার করলে সে জ্ঞান হারায়। এলাকার লোকজন তাকে যশোরে হাসপাতালে ভর্তি করে। এসব সংখ্যালঘুদের অপরাধ তারা নৌকায় ভোট দিয়েছিল। ঘটনার খবর শুনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী সাবেক সাংসদ আলী রাজ রাজু পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থ̄লে যায়। এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানায় সুভাষ ঘোষ ও সুব্রত ঘোষ অভিযোগ দায়ের করেছেন। … সম্প্রদায়ের দোকান লুট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সাখাওয়াত হোসেনের সমর্থকরা জড়িত। এ ব্যাপারে গতকাল বিকেলে যশোরের মাওলানা সাখাওয়াতের সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো খবর তার জানা নেই।
প্রথম আলো, ৪ অক্টোবর ২০০১

মন্তব্য করুন