গত ১ এপ্রিল ওই কেন্দ্রের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ করে ওই তরুণী।

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় চলমান এইচএসসি পরীক্ষার একটি কেন্দ্রে এক মাদরাসা ছাত্রীর শরীরে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ৬ এপ্রিল  শনিবার সকাল ১০টার দিকে ওই পরীক্ষাকেন্দ্রের ছাদে এ ঘটনা ঘটনা ঘটে।

আগুনে ওই ছাত্রীর শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা । গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসা হচ্ছে।

এর আগে গত ১ এপ্রিল ওই কেন্দ্রের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ করে ওই তরুণী। তার পরিবারের দাবী অধ্যক্ষের নির্দেশেই শিক্ষার্থীরাই আগুন দিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটিয়েছে।

ঘটনাস্থলে থাকা ওই মাদরাসাকেন্দ্রের একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, শনিবার সকাল ৯টায় আলিম পরীক্ষায় অংশ নিতে পরিক্ষা হলে যায়। হলে কিছুক্ষণ বসে থাকার পর সে হল থেকে বের হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরে মাদরাসার ছাদে চিৎকার শোনা যায়। সেখানে ওই ছাত্রীকে দগ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।

সোনাগাজী হাসপাতালের কর্মকর্তা নুরুল আলম ঢাকা ট্রিবিউনকে জানান, গুরত্বর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। ওই ছাএীকে হত্যা বা আত্মহত্যার চেষ্টা সঙ্গে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করা হবে।

ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন ঢাকা ট্রিবিউনকে আরও বলেন, ১ এপ্রিল থেকে ওই ছাত্রীর আলিম পরীক্ষা শুরু হয়। তাকে অগ্রিম প্রশ্ন দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অফিস কক্ষে ডেকে নেন অধ্যক্ষ। অধ্যক্ষের কক্ষে তাকে যৌন হয়রানি করে হয়েছে বলে বাড়িতে গিয়ে মা-বাবাকে জানায় সে।

পরে ২৭ মার্চ তারা থানায় অভিযোগ করলে তদন্ত করে সত্যতা পেলে পুলিশ হয়রানির অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তারে পর তিনি জেলা কারাগারে রয়েছেন । এই বিষয়ে আদালতে ভুক্তভোগী জবানবন্দিও দিয়েছে ।

ঢাকা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন