জেলার পাথরঘাটা উপজেলার ১০টি সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। নির্যাতন করা হয়েছে এসব পরিবারের সদস্যদের। এদের মধ্যে হোগলাপাশা গ্রামে ১৫ বছরের এক কিশোরী ধর্ষিত হয়েছে। বরগুনা-২ আসন (বামনা-পাথরঘাটা) থেকে চারদলীয় জোট মনোনীত বিএনপির নির্বাচিত সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মনির সমর্থকরা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব সন্ত্রাসী ও মস্তানের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে এসব ঘটনা জানানো হলেও তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে না। পাথরঘাটা এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, চরদুয়ানী, কাঁঠালতলী, নাচনাপাড়া, রায়হানপুর, কাকচিড়া পাথরঘাটা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির কর্মীরা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। কাঁঠালতলীর পরীকাটা গ্রামের মনা মণ্ডল, রায়হানপুরের গৌতম মিস্ত্রী, পঙ্কজ মালাকার, রসিক চক্রবর্তী, রতন চক্রবর্তী, সুশান্ত ও রিপনকে বিএনপির কর্মীরা মারধর করেছে। উত্তর কাকচিড়া গ্রামে সাবেক ইউপি সদস্য নরেশ হালদারকে নির্যাতন করা হয়েছে। এ ছাড়াও কাঁঠালতলীর তালুকের চরদুয়ানী গ্রামের সুজন ব্যাপারী, হোগলাপাশা গ্রামের অমলকে মারধর করা হয়েছে। হোগলাপাশা গ্রামের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অথচ ধর্ষণকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কোর্ট থানা পুলিশকে মামলা নেয়ার নির্দেশ দিলেও রির্পোট লেখা পর্যন্ত মামলার এফআইআর করা হয়নি। এমনকি ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষা করা হয়নি। ধর্ষণ মামলার বাদী অভিযোগ করেছেন, তাঁর বোনের জবানবন্দী ম্যাজিস্ট্রেট সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করেনি। পাথরঘাটা এলাকার সংখ্যালঘুরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

ভোরের কাগজ, ১৮ অক্টোবর ২০০১

মন্তব্য করুন