পাবনার বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন তার প্রাক্তন স্ত্রী। ওই নারীর অভিযোগ, তাকে আবারও বিয়ে করার প্রলোভনে ঢাকায় নিয়ে ফারুক ধর্ষণ করেন এবং বিষয়টি কাউকে না জানাতে ভয় দেখান। একপর্যায়ে তাকে ঢাকায় একা ফেলে চেয়ারম্যান চলে যান।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী রাজধানীর আদাবর থানায় মামলা করেছেন। মঙ্গলবার পাবনা ও বেড়ায় বিষয়টি জানাজানি হয়।

পুলিশ সূত্র জানায়, গত ২ অক্টোবর ভোরে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করেছেন আদাবর থানার এসআই মাধব চৌধুরী।

ঢাকা মেডিকেলের ওসিসির সমন্বয়ক ডা. বিলকিস বেগম বলেন, ৩ অক্টোবর সকালে ওই নারীর ফরেনসিক পরীক্ষা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে।

ভুক্তভোগী নারী জানান, পুনরায় বিয়ের প্রলোভনে গত ৩০ সেপ্টেম্বর তাকে ঢাকায় নিয়ে যান প্রাক্তন স্বামী ফারুক হোসেন। ঢাকায় নিয়ে আদাবরের ১০ নম্বর সড়কের একটি বাসায় ১ অক্টোবর রাতে তাকে ধর্ষণ করেন।

স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী নারী ফারুক হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। তিন বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি তাদের ডিভোর্স হয়।

জানতে চাইলে ফারুক হোসেন ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যাকে নিয়ে ধর্ষণের কথা বলা হচ্ছে তিনি আমার দ্বিতীয় স্ত্রী। ভুল বোঝাবুঝি থেকে তিনি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

সমকাল

মন্তব্য করুন