পাবনা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া এক যুবক আনসার আল ইসলামের সদস্য এবং জঙ্গি নিয়ন্ত্রিত গ্রাম গড়ার পরিকল্পনায় ছিল বলে জানিয়েছে র্যাব। গ্রেপ্তার ওই যুবক নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য বলে র্যাব জানায়।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম আব্দুল্লাহ আকাশ (২৫)। তাকে পাবনার বিসিক শিল্প এলাকা সংলগ্ন কলাবাগান মাঠপাড়া থেকে ৩০ মে শনিবার গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাব-২।
৩১ মে রোববার র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তারের সময় স্থানীয়দের উপস্থিতিতে তার বাসা থেকে ‘ইমপ্রোভাইজড’ বোমা তৈরি সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয় এবং উগ্রাবাদী বই ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, ২৯ জানুয়ারি মুন্সিগঞ্জের হরগঙ্গা কলেজ সংলগ্ন পিকলুছ ভিলা থেকে তিন জঙ্গিকে বিস্ফোরকসহ গ্রেপ্তারের পর তাদের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়। মামলা তদন্ত করতে গিয়ে আবু রায়হান লিমন, সাইফুল্লাহ নাঈম, নাবিল চোকদার, শাফাত আহাম্মদ চৌধুরী, সাকিব আল ইমতিহান ওরফে আবু মুছা, মুহিব মুশফিক, ও নাজমুস সাদাত নামে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পলাতক সহযোগীদের নাম-ঠিকানা ও পরিকল্পনা উদঘাটন করা হয়।
র্যাব জানায়, তারা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য। তাদের গ্রুপের সদস্যদের সহযোগিতায় বাংলাদেশে ‘মুসলিম ভিলেজ’ নামে একটি গ্রাম থেকে তাদের কাজ শুরুর পরিকল্পনা আঁটছিল।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, মুসলিম ভিলেজের কনসেপ্ট হলো সেখানে আল্লাহর আইন হবে, মনুষ্য কোনো নীতিতে গ্রাম চলবে না, কেউ সরকারকে কোনো খাজনা দেবে না। মুসলিম ভিলেজ প্রতিষ্ঠা করতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনুমোদন দেবে না, গ্রেপ্তার হতে পারে। সে জন্য তারা সশস্ত্র প্রতিরোধের জন্য অস্ত্র, বিস্ফোরক ও ইমপ্রোভাইজড বোমা তৈরির সরঞ্জামাদি সংগ্রহ, তৈরির চেষ্টাসহ নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টায় নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করছিল।
আকাশকে মুন্সিগঞ্জের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে র্যাব জানায়।