ফরিদপুরের মধুখালীর রায়পুরের সরস্বতীকে এসিডে ঝলসে দেয়া সুজন জামিন পেয়েছে। এদিকে, সুজন জামিনে ছাড়া পাওয়ায় সরস্বতীর পরিবারে মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা গেছে, ২০১৯ সালে নভেম্বরে রান্না ঘরে কাজ করার সময় পেছন থেকে আসামি সুজন এসিড নিক্ষেপ করে। এ সময় এসিডে সরস্বতীর দেহ ঝলসে গেলে বাড়ির অন্য সদস্যরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে সে এসিড দগ্ধ অবস্থায় জীবনযাপন করছে। এ ঘটনায় সরস্বতীর স্বামীর বড় ভাই কৃষ্ণ মালো মধুখালী থানায় সুজনকে আসামি করে মামলা করে। মামলায় মধুখালী থানা পুলিশ সুজনকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। দীর্ঘ ২ বছর কারাবাস করার পর গত ৪ঠা অক্টোবর হাইকোট থেকে জামিন পায় সুজন। জামিনের খবরে পরিবারটি এখন আতঙ্কের মধ্যে আছে।
সরস্বতীর স্বামী চৈতন্য মালো জানান, গত ৮ মাস আগে সুজন জেল থেকে আমাকে হুমকি দিয়েছিল। সে বলেছিল আমি আসছি তোকে দেখিয়ে দেবো। এখন জানতে পারলাম সুজনের জামিন হয়েছে আমরা ভয়ের মধ্যে আছি সে কখন কী করে।
বাদীর কৌঁশলি মাসুদ হোসেন ও আসামির কৌঁশলি রতন মৃধা সুজনের জামিনের বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে জানান।
এদিকে, সুজনের ভাই সুশীল হালদার জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সুজন হাইকোট থেকে জামিন পেয়েছে এখনো কোনো কাগজ আসে নাই। কাগজ আসলে সে জেল থেকে ছাড়া পাবে।