ফেনীর দাগনভূঞায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বসতঘরে ঢুকে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
৩১ মে সোমবার দাগনভূঞা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন নির্যাতিতা প্রবাসীর স্ত্রী। ক্ষতিগ্রস্ত নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সোমবার শেষ হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নে।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন দাগনভূঞা উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল হাইয়ের বাড়ির আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে দাগনভূঞা বাজারের ব্যবসায়ী ডক্টরস চেম্বার (রাজ্জাক ফার্মেসির) স্বত্বাধিকারী মোস্তাফিজুর রহমান (৪৫) ও আবুল হোসেনের ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৫)।
নারী সূত্রে জানা যায়, বাদীনির সঙ্গে বিবাদীদের দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে বাদীনির ছেলে আবিদকে ১নং বিবাদী মোস্তাফিজ দাগনভূঞা বাজারের বসুরহাট রোড়ে তার মালিকানাধীন রাজ্জাক ফার্মেসির ভিতর আটকে রেখে মারধর করেন। এ খবর পেয়ে বাদীনি ছুটে গেলে বাদীনিকে রড় দিয়ে মারধর করলে তার পা ভেঙে যায়।
এ ঘটনার পর থেকে বাদীনি তার সন্তানদের অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়। এ সুযোগে শনিবার রাতে বিবাদী মোস্তাফিজ ও নজরুল বিরোধকৃত সম্পত্তিতে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে। এতে মামলার বাদীনি বাধা প্রদান করলে বিবাদীরা তার পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে তার ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে।
বাড়িতে বাদীনি ও বিবাদীদের ঘর ছাড়া আর কোনো বসতঘর না থাকায় বাদীনির চিৎকারে কেউ আসেননি। ধর্ষণের পর এ ঘটনা কাউকে জানালে বাদীনির সন্তানসহ সবাইকে হত্যা করার হুমকি প্রদান করা হয়। বর্তমানে ধর্ষিতা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হওয়ার পর থেকেই অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সোমবার শেষ হয়েছে।