বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর দুই মাস আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে ৪ ডিসেম্বর শুক্রবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন ওই ইউনিয়নের আব্দুল মান্নান (৪০) ও রিপন হোসেনের স্ত্রী সাথী খাতুন (৩৬)। অপহরণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার সাভার এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ দুপুর ১২টার দিকে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই স্কুলছাত্রী গত ১৬ জুলাই সকালে বাড়ি থেকে নানার বাড়ি যাচ্ছিল। পথে একই এলাকার মাসুদ রানা (৩৫), গোপালনগর ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড সদস্য ফজলুল হক বাবুর সহযোগিতায় তাকে অপহরণ করা হয়।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর মেয়েকে না পেয়ে স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে ১২ আগস্ট ধুনট থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় মাসুদ রানা ও ফজলুল হকসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। পরে গত ২৫ সেপ্টেম্বর নির্যাতিত ছাত্রীকে সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনা বাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করে স্বজনরা। উদ্ধারের পর ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলে।
স্কুলছাত্রীর মা জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আহসানুল হক আসামিদের গ্রেপ্তার ও বাদীকে সহযোগিতা করতে কোনো ভূমিকা রাখেননি। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার রাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আহসানুল হককে ধুনট থানা থেকে বগুড়া পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
স্কুলছাত্রীর মা আরও জানান, মেয়েকে উদ্ধারের পর থেকে স্থানীয় প্রভাবশালীরা মামলা তুলে নিয়ে মীমাংসা করতে চাপ দেন। মামলা তুলে নিতে তার কাছ থেকে জোর করে সাদা কাগজে স্বাক্ষরও নেওয়া হয়। পুলিশের সহযোগিতা না থাকায় অনেকটা বাধ্য হয়েই স্বাক্ষর করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ‘মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আব্দুল মান্নান ও সাথী খাতুনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’