বরগুনার তালতলীতে পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুস সোবাহান (৬৫) নামের এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  ১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে তালতলী থানায় দায়েরকৃত মামলার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।  ২ অক্টোবর শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

 

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার লালুপাড়া এলাকার আব্দুস সোবাহান হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরে ফকিরহাট বাজারে মুদি মনোহরী দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছে। ওই বাজারের পাশেই ইদুপাড়া এলাকার পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া একটি মেয়ে গত সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তার দোকানে বাজার করতে যায়। এ সময় ব্যবসায়ী আব্দুস সোবহান মেয়েটিকে ডেকে কৌশলে দোকানের পিছনে থাকা একটি রুমে নিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেন। ধস্তাধস্তিতে মেয়েটির মুখের বাঁধন খুলে যায়। তখন ওই শিশুর চিৎকার শুনতে পায় শাকিল নামের এক ক্রেতা। ওই ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য যুবক শাকিলকে হুমকি দেয় সোবাহান। এরপর ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ভিকটিম পরিবারের সাথে একাধিকবার সমঝোতার চেষ্টা করেন তিনি।

এ ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে আব্দুস সোবাহান তার লোকজন নিয়ে শাকিলকে সন্দেহ করে পিটিয়ে করে আহত করে। আহত শাকিলকে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পরে বৃহস্পতিবার রাতেই শিশুটির বাবা তালতলী থানায় আব্দুস সোবাহান হাওলাদারকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। রাতেই পুলিশ তাকে ফকিরহাট বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে। আজ আদালতের মাধ্যমে তাকে বরগুনা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান মিয়া মুঠোফোনে বলেন, শিশু ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কালের কণ্ঠ

মন্তব্য করুন