বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের কালীবাড়ি গ্রামে বিধবা দুই সন্তানের জননীকে বিয়ের প্রলোভনে তিন বছর যাবত ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে মিজান তালুকদার নামে এক মুদি দোকানদারের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী নারী জানান, তার স্বামী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১৮ সালে মারা যান।
স্বামীর চিকিৎসা ও দুই শিশুসন্তান নিয়ে বিপাকে পড়ে বাধ্য হয়ে স্থানীয় মুদি দোকানদার মিজান তালুকদারের দোকান থেকে সে বিভিন্ন সময় বাকি ও নগদ টাকায় বিভিন্ন মালামাল ক্রয় করতেন। তার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে মিজান তালুকদার বিভিন্নভাবে তাকে ফুসলিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে। স্বামীর মৃত্যুর পরে মিজান তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখে।
বিধবা নারী বলেন, তাদের সম্পর্কের কথা এলাকার সবাই জানে এবং একাধিকবার তার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় এলাকাবাসী মিজানকে আটক করে এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলে এলাকাবাসী তাকে ছেড়ে দেন। এখন মিজান আমাকে বিয়ে না করলে সমাজে মুখ দেখানো যাবে না, তাই আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় থাকবে না।
সরেজমিন জানা গেছে, এলাকাবাসী মিজান এবং বিধবা নারীকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবেই জানতেন। অভিযুক্ত মিজান তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উল্লেখিত নারীর সঙ্গে আমার মোবাইলে কথা হয়েছে মাত্র।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই নারী আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছিলেন। ধর্ষণের বিষয় সালিশ বৈঠকে মীমাংসা করা যায় না বিধায় তাকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।