স্থানীয়রা ওই ছাত্রীকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
বরগুনা সদর উপজেলার সাহেবের হাওলা রফেজিয়া দাখিল মাদ্রাসার শরীর চর্চা শিক্ষক মো: সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে একই প্রতিষ্ঠানের ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ২০ জানুয়ারী রবিবার বিকেল ৩টার দিকে ওই ছাত্রীর স্বজন ও স্থানীয়রা ওই ছাত্রীকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামের বাবা মাওলানা মো: ইব্রাহীম খলিল সদর উপজেলার ৪নং কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং একই মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক।
নির্যাতিত ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধারকারী সমাজকর্মী আরিফুর রহমান মারুফ মৃধা ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, রবিবার দুপুরে মাদ্রাসায় মধ্যাহ্ণ বিরতির সময় গাইড দেয়ার কথা বলে শিক্ষক সাইফুল মাদ্রাসার পাশেই অবস্থিত বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর ঘরের দোতলায় উঠিয়ে তাকে জোরপূর্বক নির্যাতন চালায়। সাইফুলের পাশবিক নির্যাতন এই শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঘরে রেখেই পালিয়ে যান সাইফুল। পরে স্থানীয়দের কাছে এ ঘটনার খবর এই শিক্ষার্থীর বাবা শুনে আমাকে ফোনের মাধ্যমে জানান। পরে আমি ঔ কিশোরীর মা ও স্থানীয় এলাকাবাসী সাইফুলের বাড়িতে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছি”।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাকিল তানভীর বলেন, “মেয়েটিকে আমরা প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করেছি। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছে রক্তক্ষরণ বন্ধ করার জন্য। প্রাথমিকভাবে যে আলামত পাওয়া গেছে তাতে মনে হয় মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে”।
বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। সেই সাথে মেয়েটির চিকিৎসা ও মানসিকভাবে তার পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে”।
এছাড়াও নির্যাতিতার পরিবারকে প্রয়োজনীয় সকল আইনগত সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার।