বরিশালের হিজলা উপজেলায় বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ২০ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে এ ঘটনার পর অচেতন অবস্থায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয় ব্যক্তিরা বাড়িতে পৌঁছে দেন। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে রাতে তাকে হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
হিজলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তারেক হাসান বলেন, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে গতকাল রাত সাড়ে ১২টায় থানায় একটি ধর্ষণের মামলা করা হয়।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রী গতকাল সকাল ১০টায় স্কুলে যাওয়ার পথে আতা উল্লাহ ও তাঁর সহযোগীরা মুখে কাপড় দিয়ে চেপে পাশের পানের বরজে নিয়ে যান। ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলচালক আতা উল্লাহ মোল্লা ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। তাঁর তিন সহযোগী শরীফ, সেফায়েত উল্লাহ ও রুবেল সিকদার ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে নিতে বাধা দেন। তবে রক্তক্ষরণ হলে গতকাল সন্ধ্যা সাতটায় ওই কিশোরীকে হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শাহরাজ হায়াত বলেন, মেয়েটির রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।