বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও মহাসচিব আখতার আহমেদ খান এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি আলতাফ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল ভূঁইয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দেশব্যাপী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর বর্বরোচিত ও পৈশাচিক হামলা এবং নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানান। তারা এ ধরনের সন্ত্রাসী ঘটনা বন্ধ করতে সরকারের ব্যর্থতায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতৃত্ববৃন্দ বলেন, দেশব্যাপী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর বিএনপি ও জামায়াত শিবির ক্যাডারদের নির্বাচনোত্তর সহিংস ও সন্ত্রাসী হামলা, খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি, লুটতরাজ এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের ঘটনায় কোন বিবেকবান নাগরিক নিশ্চুপ থাকতে পারে না। স্বাভাবিকভাবেই গণতন্ত্র এবং অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ। সাংবাদিক সমাজও এই পাশবিক এবং সন্ত্রাসী ঘটনায় আজ প্রতিবাদী। বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃত্ববৃন্দ বলেন, যখন দেশের সকল সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া দেশব্যাপী সংখ্যালঘুদের উপর নির্বাচনোত্তর হামলা, নির্যাতনের সচিত্র প্রতিবেদন বস্তুনিষ্ঠভাবে প্রকাশ করছে, তখন সরকারের দায়িত্বশীল নেতাদের সংবাদসমূহ অতিরঞ্জিত বলে আখ্যায়িত করা অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্খিত এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে প্রকারান্তরে প্রশ্রয় দেয়ার শামিল। তারা অবিলম্বে এ ধরনের হিংসাত্মক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান। তারা উল্লেখ করেন, হিন্দু সম্প্রদায় আজ তাদের সবচেয়ে আনন্দের ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা অনাড়ম্বরভাবে পালন করার যে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে তা জাতির জন্য কলঙ্কজনক ও লজ্জাকর। তারা বলেন, সকল ধর্মের কর্মকাণ্ড স্বাধীন ও নিরাপদে পালন করার পরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের এবং এর ব্যর্থতার জন্য সরকারকেই জবাবদিহি করতে হবে।
দৈনিক মুক্তকন্ঠ , ১৭ অক্টোবর ২০০১