পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি করে ছেলে, এই প্রভাব খাটিয়ে একটি হিন্দু পরিবারের ওপর হামলা ও  পৈত্রিক বাড়ি থেকে উৎখাতের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আমিন কাজী নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। 

 

৮ অক্টোবর রবিবার ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের চন্দ্র প্রসাদ গ্রামের বাসিন্দা মনিন্দ্র চন্দ্র শীলের পরিবারের উপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় আহত মনিন্দ্র শীলের স্ত্রী ঊষা রানী শীল ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

মনিন্দ্র চন্দ্রের ভাই রাখাল চন্দ্র জানান, বেশ কয়েক বছর ধরেই ওই এলাকা থেকে চলে গিয়ে অন্যত্র বাড়ি করতে হুমকী দিয়ে আসছে রুহুল আমিন কাজী ও তার ছেলেরা। রবিবার আমিন কাজীর নেতৃত্বে তার ছেলে আনোয়ার হোসেন, আজগর এবং পুলিশ কনস্টেবল ছেলে মিজানুর রহমান মিজুসহ আরও কিছুু লোকজন নিয়ে জোর পূর্বক গাছ কাটতে শুরু করে। এতে বাঁধা দিলে তারা মনিন্দ্র চন্দ্র শীলের উপর হামলা করে। মনিন্দ্রকে মারধরের দৃশ্য দেখে ছুটে আসেন স্ত্রী উষা রাণী। এসময় তাকেও বেদম প্রহার করা হয়। এ ঘটনায় আহত উষা রানী শীল ভোলা সদর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। হামলাকালীন মনিন্দ্র শীলদের এলাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্য হুমকী দেয় প্রভাবশালী ওই পরিবার।

এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস সালাম মাস্টার জানান, রুহুল আমিন কাজীর পরিবারের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। মনিন্দ্র চন্দ্রের বাড়ির জমি দাবি করছে। রুহুল আমিন কাজী এই এলাকায় বাড়ি করার অনেক আগেই থেকেই মনিন্দ্র চন্দ্র শীলদের বসবাস এই এলাকায়। রুহুলআমিন কাজী অনেক পরে মনিন্দ্রদের বাড়ির পাশে জমি কিনে বাড়ি করে।

ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভেলুমিয়া পুলিশ ফাঁড়িকে বলা হয়েছে।

ডিবিসি নিউজ

মন্তব্য করুন