মুন্সীগঞ্জের ৪টি আসনের ৬টি উপজেলার ইউনিয়ন ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাড়া-মহল্লাগুলোতে চলছে সংখ্যালঘুদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করাসহ ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার হুমকি। এসব ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানানো হলেও তারা এ ব্যাপারে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে লৌহজংয়ের কনকসারে ৭টি হিন্দুবাড়িতে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা
চালায়। এতে উজালা মণ্ডল (২৫) ও তার স্বামী বিশ্বনাথ মণ্ডল (৩৫) গুরুতর আহত হন। এছাড়া দীর্ঘ এক ঘন্টার এই হামলায় তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করাসহ লুটপাটের ঘটনাও ঘটে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের গোয়ালপাড়া, ইন্দ্রাকপুর ও নয়াপাড়া এলাকায় সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যদের হুমকি প্রদর্শন করেছে মুখোশধারী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এ সময় তারা চাঁদা দাবি ও এলাকা থেকে তাদের বিতাড়িত করারও হুমকি দেয় অত্যাধুনিক অস্ত্র উঁচিয়ে। এ ব্যাপারে জরুরী ভিত্তিতে স্থানীয় প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এছাড়া জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের সংখ্যালঘুদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হচ্ছে এবং ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য তাদের ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ বিএনপির চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দায়ী করেছে; কিন্তু
বিএনপি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সংবাদ, ১ অক্টোবর, ২০০১
কৃতজ্ঞতা: শ্বেতপত্র-বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ১৫০০ দিন