পটুয়াখালী থেকে নিখিল চ্যাটার্জি ঃ আসন্ন অষ্টম জাতীয় সংসদকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালী জেলার চারটি নির্বাচনী এলাকার ৪৫টি গ্রামের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা এখন আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি গ্রামে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। পটুয়াখালী জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদ সূত্রে এ খবর পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রকাশ, জেলার চারটি আসনের মধ্যে পটুয়াখালী-১ আসনের অধীনে সদর উপজেলা, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি-এই তিনটি উপজেলার ১১টি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রামে ও পটুয়াখালী-২ বাউফল আসনের ৭টি, পটুয়াখালী-৩ গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলার ৯টি ও পটুয়াখালী-৪ কলাপাড়া উপজেলা ও রাঙ্গাবালী এলাকার ১৮টি গ্রামের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিবার-পরিজন আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।

সূত্রমতে, ইতিমধ্যে পটুয়াখালী সদর থানার ঋষিপাড়ায় ও বাউফল উপজেলার কালিশুরি ইউনিয়নের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে বলে সূত্রটি উল্লেখ করেন।

কয়েকটি এলাকায় ঘুরে জানা গেছে, অনেক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অভিভাবকরা তাদের যুবতী মেয়েদের নির্বাচনের পরে হামলার আশঙ্কায় নিরাপদ স্থানে রেখে এসেছেন। তারা ভোটার হওয়া সত্ত্বেও জন্মগত কারণে সংখ্যালঘু হওয়ায় নিজ ভূমিতে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না বলে সংশ্লিষ্টদের অভিভাবকরা এ প্রতিনিধিকে জানান। একজন বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যে কোনো নির্বাচন কিংবা বিদেশী কোনো সম্প্রদায়গত সমস্যা দেখা দিলেই এ দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নেমে আসে। এরপর ব্যক্তিগত আক্রোশ তো সারা দেশে আছেই। সরকার এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বারবার ব্যর্থ
হচ্ছে। যদি এটা চলতে থাকে, তবে আমাদের জন্য ‘মাইগ্রেশনে’র ব্যবস্থা করা হোক।

সংবাদ, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০০১

কৃতজ্ঞতা: শ্বেতপত্র-বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ১৫০০ দিন

মন্তব্য করুন