শেষ মুহূর্তে চট্টগ্রামের সর্বত্র চলছে আচরণবিধি লঙ্ঘন আর শোনা যাচ্ছে অস্ত্রের ঝনঝনানি। প্রস্তুত আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের দেড় হাজার ক্যাডার। জিম্মি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১০ লাখ মানুষ। সোমবারের নির্বাচনে সংখ্যালঘুরা ভোট দিতে যেতে পারবে কিনা এ নিয়ে সংশয় রয়েছে। শেষ মুহূর্তে ১৫টি আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীরা নেমেছে টাকার খেলায়। কিন্তু জামায়াত মেতেছে অন্য খেলায়। নির্বাচনে প্রধান ৩০ প্রার্থী ইতিমধ্যে ব্যয় করেছে ৫০ কোটি টাকা।

সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের ১৫টি আসনে ভোটার ৩৭ লাখ ৭৬ হাজার ৭৪৬ জন। এর মধ্যে ১০ লাখ সংখ্যালঘু। এই সংখ্যালঘুরা এখন শঙ্কিত ও আতঙ্কিত। আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক খ্যাত এসব সংখ্যালঘুকে ভোটদানে বাধা দিচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা। প্রতিটি আসনে তাদের টার্গেট সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। বিএনপি-জামায়াত ক্যাডাররা পাড়ায়-মহল্লায় গিয়ে তাদের হুমকি দিচ্ছে। প্রকাশ্যে দেখাচ্ছে অস্ত্র, যেন সোমবার ঘর থেকে বের না হয়। সংখ্যালঘুরা স্থানীয় পুলিশের সাহায্য চেয়ে পাচ্ছে না। ফলে গুমোট এক পরিস্থিতিতে তারা দিন কাটাচ্ছে।

সবচেয়ে নাজুক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান), চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া), চট্টগ্রাম-৮ (ডবলমুরিং-বন্দর-পাহাড়তলি), চট্টগ্রাম-১১ (পটিয়া), চট্টগ্রাম ১২ (আনোয়ারা), চট্টগ্রাম-১৩ (চন্দনাইশ), চট্টগ্রাম ১৪ (সাতকানিয়া-লোহাগড়া) এবং চট্টগ্রাম-১৫ (বাঁশখালী) আসনে।

বৃহস্পতিবার রাউজানের কেউচিয়া গ্রামে ছাত্রলীগ নেতা পুলক ভট্টাচার্যের বাড়িতে সা.কা.-গি.কা.র ক্যাডাররা আগুন লাগায় এবং লুটপাট চালায়। এর আগে ২৪ সেপ্টেম্বর কুয়েপাড়া সুনীল চৌকিদারের বাড়িতে, ২৫ সেপ্টেম্বর মীরাপাড়ায় তাপস বড়–য়ার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে। রাউজান ও রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন সংখ্যালঘু এলাকায় গিয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছে যে ‘নৌকায় ভোট দিলে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেবে’।

চট্টগ্রাম-১২ (আনোয়ারা) আসনে বরুমছড়া এলাকায় সংখ্যালঘুদের অস্ত্র উঁচিয়ে হুমকি দিতে গেলে বুধবার স্থানীয় জনতা কমরুদ্দিন নামে এক বিএনপি ক্যাডারকে অস্ত্রসহ আটক করে সেনাবাহিনীর হাতে সোপর্দ করে। চট্টগ্রাম-৮ (ডবলমুরিং-বন্দর-পাহাড়তলি) আসনে বেপারিপাড়া ও ছোটপুল এলাকায় শুক্রবার সংখ্যালঘুদের অস্ত্র উঁচিয়ে হুমকি দিয়েছে সিএমপির তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী বিএনপি-ক্যাডার মোহাম্মদ সেলিম। আওয়ামী লীগ প্রার্থী আসরাফুল আমিন বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। চারদলীয় ক্যাডাররা চট্টগ্রামের ১৫টি আসনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে হুমকি দিচ্ছে বলে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা অভিযোগ করেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, চট্টগ্রামের ১৫টি আসনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন আওয়ামী লীগ ও চারদলীয় প্রার্থীরা। প্রত্যেকে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেছেন। নির্বাচনী ব্যয় ৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হলেও কোনো কোনো প্রার্থীর ব্যয় ৫ কোটি টাকা! নেতাকর্মীদের মাধ্যমে প্রার্থীরা এই টাকা বিতরণ করেছেন। সাধারণ ভোটাররাও পাচ্ছে। তবে পরিমাণে তা খুবই নগণ্য। এ টাকার খেলা থামাতে পারছে না নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী প্রতীক পাঁচ মিটারের অধিক বড় হতে পারবে না বলে যে আইন রয়েছে তা কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ। রঙবেরঙের বিশাল প্রতীক স্থান পেয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। একটি ওয়ার্ডে একটি নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপনের কথা থাকলেও হাজার হাজার নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এসব ক্যাম্পে চলছে আলোকসজ্জা। ট্রাক-বাস নিয়ে মিছিল করা নিষিদ্ধ থাকলেও তা প্রার্থীরা মানছে না। ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি এ পর্যন্ত কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ফলে কাগুজে আইন নিয়ে জনগণের মধ্যে এক ধরনের ক্ষোভ ও হতাশা রয়েছে।

সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীরা কোটি কোটি কালো টাকার মাধ্যমে জয়ী হওয়ার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে। কিন্তু জামায়াত-শিবির চট্টগ্রাম-৪ (সাতকানিয়ো-লোহাগড়া) আসনে তাদের প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরীকে জয়ী করতে নীল নকশা চূড়ান্ত করেছে। উদ্দেশ্য বিএনপির অলি আহমদকে পরাজিত করা। এ নীল নকশা অনুসারে চট্টগ্রামে ১৫টি আসন থেকে ২০ হাজার ক্যাডারকে এখন সাতকানিয়া-লোহাগড়ায় জড়ো করা হয়েছে। সোমবার জরের নামাজ শেষে এসব ক্যাডার দখল করে নেবে বেশকিছু কেন্দ্র। লাইনে দাঁড়িয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থকরা কেন্দ্রে যাওয়ার আগেই জালভোট দিয়ে দেবে। এ ব্যাপারে
তারা একটি তালিকাও তৈরি করেছে। কে কার ভোট দেবে তাও নির্ধারণ করেছে তারা। কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনে চারদলীয় প্রার্থী খালেকুজ্জামানের মৃত্যুতে চট্টগ্রাম-১৪ আসনের জামায়াত প্রার্থী শাহজাহানের এখন পোয়াবারো। নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় সেখানকার জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের (সাতকানিয়া-লোহাগড়া) এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর এইট মার্ডার মামলার দুর্ধর্ষ আসামি সাতকানিয়ার আহমদ্যার নেতৃত্বে সাজ্জাদ হুমায়ুনের সশস্ত্র বাহিনীও অবস্থান নিয়েছে। চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) ও ৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে গি.কা. চৌধুরী ও সা.কা. চৌধুরী ভাতৃদ্বয় জড়ো করেছে নিজস্ব ক্যাডারদের। অন্যবারের চেয়ে এবার তারা চরম বেকায়দায় রয়েছে। এ অবস্থায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে জিম্মি ও ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম-৪ (ফটিকছড়ি) আসনে বিডিআরের গুলিতে আওয়ামী লীগের ৫ কর্মী নিহত হওয়ায় সেখানে চরম উত্তেজনা রয়েছে। চট্টগ্রাম-১৩ (চন্দনাইশ) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আফসার উদ্দিন ও বিএনপি প্রার্থী অলি আহমদের সমর্থকদের মধ্যে রোববার ও সোমবার ঘটে যায় লঙ্কাকাণ্ড। ফলে ১৫টি আসনের মধ্যে সবার দৃষ্টি এখন রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া এবং লোহাগড়ার দিকে।

শেষ মুহূর্তে চট্টগ্রামের সর্বত্র চলছে আচরণবিধি লঙ্ঘন আর শোনা যাচ্ছে অস্ত্রের ঝনঝনানি। প্রস্তুত আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের দেড় হাজার ক্যাডার। জিম্মি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১০ লাখ মানুষ। সোমবারের নির্বাচনে সংখ্যালঘুরা ভোট দিতে যেতে পারবে কিনা এ নিয়ে সংশয় রয়েছে। শেষ মুহূর্তে ১৫টি আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীরা নেমেছে টাকার খেলায়। কিন্তু জামায়াত মেতেছে অন্য খেলায়। নির্বাচনে প্রধান ৩০ প্রার্থী ইতিমধ্যে ব্যয় করেছে ৫০ কোটি টাকা।

চট্টগ্রামের ১৫টি আসনে ভোটার ৩৭ লাখ ৭৬ হাজার ৭৪৬ জন। এর মধ্যে ১০ লাখ সংখ্যালঘু। এই সংখ্যালঘুরা এখন শঙ্কিত ও আতঙ্কিত। আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক খ্যাত এসব সংখ্যালঘুকে ভোটদানে বাধা দিচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা। প্রতিটি আসনে তাদের টার্গেট সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। বিএনপি-জামায়াত ক্যাডাররা পাড়ায়-মহল্লায় গিয়ে তাদের হুমকি দিচ্ছে। প্রকাশ্যে দেখাচ্ছে অস্ত্র, যেন সোমবার ঘর থেকে বের না হয়। সংখ্যালঘুরা স্থানীয় পুলিশের সাহায্য চেয়ে পাচ্ছে না। ফলে গুমোট এক পরিস্থিতিতে তারা দিন কাটাচ্ছে।

সবচেয়ে নাজুক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান), চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া), চট্টগ্রাম-৮ (ডবলমুরিং-বন্দর-পাহাড়তলি), চট্টগ্রাম-১১ (পটিয়া), চট্টগ্রাম ১২ (আনোয়ারা), চট্টগ্রাম-১৩ (চন্দনাইশ), চট্টগ্রাম ১৪ (সাতকানিয়া-লোহাগড়া) এবং চট্টগ্রাম-১৫ (বাঁশখালী) আসনে। বৃহস্পতিবার রাউজানের কেউচিয়া গ্রামে ছাত্রলীগ নেতা পুলক ভট্টাচার্যের বাড়িতে সা.কা.-গি.কা.র ক্যাডাররা আগুন লাগায় এবং লুটপাট চালায়। এর আগে ২৪ সেপ্টেম্বর কুয়েপাড়া সুনীল চৌকিদারের বাড়িতে, ২৫ সেপ্টেম্বর মীরাপাড়ায় তাপস বড়ুয়ার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে। রাউজান ও রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন সংখ্যালঘু এলাকায় গিয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্র
উচিয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছে যে ‘নৌকায় ভোট দিলে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেবে’।

চট্টগ্রাম-১২ (আনোয়ারা) আসনে বরুমছড়া এলাকায় সংখ্যালঘুদের অস্ত্র উঁচিয়ে হুমকি দিতে গেলে বুধবার স্থানীয় জনতা কমরুদ্দিন নামে এক বিএনপি ক্যাডারকে অস্ত্রসহ আটক করে সেনাবাহিনীর হাতে সোপর্দ করে। চট্টগ্রাম-৮ (ডবলমুরিং-বন্দর-পাহাড়তলি) আসনে বেপারিপাড়া ও ছোটপুল এলাকায় শুক্রবার সংখ্যালঘুদের অস্ত্র উঁচিয়ে হুমকি দিয়েছে সিএমপির তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী বিএনপি-ক্যাডার মোহাম্মদ সেলিম।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী আসরাফুল আমিন বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। চারদলীয় ক্যাডাররা চট্টগ্রামের ১৫টি আসনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে হুমকি দিচ্ছে বলে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা অভিযোগ করেছে।

চট্টগ্রামের ১৫টি আসনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন আওয়ামী লীগ ও চারদলীয় প্রার্থীরা। প্রত্যেকে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেছেন। নির্বাচনী ব্যয় ৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হলেও কোনো কোনো প্রার্থীর ব্যয় ৫ কোটি টাকা! নেতাকর্মীদের মাধ্যমে প্রার্থীরা এই টাকা বিতরণ করেছেন। সাধারণ ভোটাররাও পাচ্ছে। তবে পরিমাণে তা খুবই নগণ্য। এ টাকার খেলা থামাতে পারছে না নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী প্রতীক পাঁচ মিটারের অধিক বড় হতে পারবে না বলে যে আইন রয়েছে তা কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ। রঙবেরঙের বিশাল প্রতীক স্থান পেয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। একটি ওয়ার্ডে একটি নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপনের কথা থাকলেও হাজার হাজার নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এসব ক্যাম্পে চলছে আলোকসজ্জা। ট্রাক-বাস নিয়ে মিছিল করা নিষিদ্ধ থাকলেও তা প্রার্থীরা মানছে না। ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি এ পর্যন্ত কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ফলে কাগুজে আইন নিয়ে জনগণের মধ্যে এক ধরনের ক্ষোভ ও হতাশা রয়েছে।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীরা কোটি কোটি কালো টাকার মাধ্যমে জয়ী হওয়ার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে। কিন্তু জামায়াত-শিবির চট্টগ্রাম-৪ (সাতকানিয়ো-লোহাগড়া) আসনে তাদের প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরীকে জয়ী করতে নীল নকশা চূড়ান্ত করেছে। উদ্দেশ্য বিএনপির অলি আহমদকে পরাজিত করা। এ নীল নকশা অনুসারে চট্টগ্রামে ১৫টি আসন থেকে ২০ হাজার ক্যাডারকে এখন সাতকানিয়া-লোহাগড়ায় জড়ো করা হয়েছে। সোমবার ফজরের নামাজ শেষে এসব ক্যাডার দখল করে নেবে বেশকিছু কেন্দ্র। লাইনে দাঁড়িয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থকরা কেন্দ্রে যাওয়ার আগেই জালভোট দিয়ে দেবে। এ ব্যাপারে তারা একটি তালিকাও তৈরি করেছে। কে কার ভোট দেবে তাও নির্ধারণ করেছে তারা। কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনে চারদলীয় প্রার্থী খালেকুজ্জামানের মৃত্যুতে চট্টগ্রাম-১৪ আসনের জামায়াত প্রার্থী শাহজাহানের এখন পোয়াবারো। নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় সেখানকার জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের (সাতকানিয়া-লোহাগড়া) এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর এইট মার্ডার মামলার দুর্ধর্ষ আসামী সাতকানিয়ার আহমদ্যার নেতৃত্বে সাজ্জাদ হুমায়ুনের সশস্ত্র বাহিনীও অবস্থান নিয়েছে।

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) ও ৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে গি.কা. চৌধুরী ও সা.কা. চৌধুরী ভাতৃদ্বয় জড়ো করেছে নিজস্ব ক্যাডারদের। অন্যবারের চেয়ে এবার তারা চরম বেকায়দায় রয়েছে। এ অবস্থায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে জিম্মি ও ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম-৪ (ফটিকছড়ি) আসনে বিডিআরের গুলিতে আওয়ামী লীগের ৫ কর্মী নিহত হওয়ায় সেখানে চরম উত্তেজনা রয়েছে। চট্টগ্রাম-১৩ (চন্দনাইশ) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আফসার উদ্দিন ও বিএনপি প্রার্থী অলি আহমদের সমর্থকদের মধ্যে রোববার ও সোমবার ঘটে যায় লঙ্কাকাণ্ড। ফলে ১৫টি আসনের মধ্যে সবার দৃষ্টি এখন রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া এবং লোহাগড়ার দিকে।

আজকের কাগজ, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০০১

কৃতজ্ঞতা: শ্বেতপত্র-বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ১৫০০ দিন

মন্তব্য করুন