ছাত্রীর মা মাহফুজা বেগম জানান, বিদ্যালয়ে যাতায়াতের পথে আলিমাবাদ গ্রামের মোসলেম সরদারের পুত্র রোমান ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে লিয়াকে কু-প্রস্তাবসহ বিভিন্নভাবে নিপীড়ন করে আসছিলো। বখাটেরা প্রায়ই তাদের মোবাইল ফোনে লিয়ার সেঙ্গ কথা বলতে চাইতো। মাহফুজা বেগম তাদের ফোন করতে নিষেধ করলে বখাটেরা তাকে ও তার মেয়েকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতো।

বুধবার বিকালে লিয়া ঘরে এসে কান্নাকাটি করে। এ সময় কারণ জানতে চাইলে সে কোনো কথা বলেনি। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে মাহফুজা বেগম পারিবারিক কাজের জন্য পাশ্ববর্তী বাড়িতে গিয়ে ফিরে এসে লিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময়ে তিনি লিয়ার পড়ার টেবিল থেকে আত্মহত্যার চিরকুট দেখতে পান। চিরকুটের মাঝে লেখা ছিলো ‘আজকে আমাকে একজনে একটা খারাপ কথা বলেছে, শুধু আমাকেই নয়, আমার আপুকেও বলেছে। কথাটা মিথ্যা তাই মানতে পারি না। তাই আমি পৃথিবী থেকে অনেক দূরে চলে গেলাম। আমার মৃত্যুর জন্য কেহ দায়ি নহে।’
অপরদিকে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, লিয়ার চাচাতো ভাই বিপ্লব সরদার দীর্ঘ দিন ধরে লিয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। কিন্তু লিয়া কিছুতেই বিয়েতে রাজি হচ্ছিলো না। লিয়ার ঝুলন্ত লাশ পাওয়ার পর থেকে বিপ্লব আত্মগোপন করায় তাকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মুলাদী থানার ওসি জিয়াউল আহসান বলেন, ‘স্কুলছাত্রীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে রোমনকে আটক করা হয়েছিলো। জিজ্ঞাসাবাদে লিয়ার মৃত্যুর সেঙ্গ রোমানের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এখন রামচর গ্রামের রাজ্জাক সরদারের পুত্র বিপ্লবকে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাকে আটক করলেই অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে। এছাড়া ময়না তদন্তের আগে লিয়ার মৃত্যু বিষয়টিকে হত্যা সন্দেহে তদন্ত করা হবে।’

ইত্তেফাক

মন্তব্য করুন