স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়ার আশায় যাদের কাছে বিচার চেয়ে দিনের পর দিন ঘুরেছেন, তাদের কাছেই ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার একটি গ্রামে।
এ ঘটনায় ১০ মার্চ বুধবার সকালে মুক্তাগাছা থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই নারী। পুলিশ খলিলুর রহমান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ জানায়, ২০১২ সালে মুক্তাগাছা উপজেলার জয়দা গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে ওই নারীর বিয়ে হয়। তাদের ঘরে সাত বছরের এক পুত্রসন্তান রয়েছে। দুই বছর আগে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। এর পর থেকে ছেলেকে দেখতে মাঝেমধ্যে স্বামীর বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন ওই নারী। আসা-যাওয়ার পথে পরিচয় হয় ওই গ্রামের সাইফুল ইসলাম নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে।
তার কাছে আকুতি জানান, স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়ার। কিন্তু সাইফুল নিজেই তাকে বিয়ে করবেন বলে জানান। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণও করেন সাইফুল। পরে সাইফুল বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ওই নারী বিচার চাইতে হাজির হন শহরের হৃদয়মোড়ের এক মানবাধিকার কর্মীর কাছে। সেখানে গিয়ে পরিচয় হয় উপজেলার পাহাড় পাবইজান গ্রামের খলিলুর রহমান নামে এক পল্লি চিকিৎসকের সঙ্গে। তিনি সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে ওই নারীকে সোমবার রাতে বিরুলিয়া গ্রামের কাদেরের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে কাদের, খলিলুর ও তাদের আরও পাঁচ সহযোগী মিলে গ্রামের ফসলি মাঠের একটি আমগাছের নিচে ওই নারীকে ধর্ষণ করে।
মুক্তাগাছা থানার ওসি মোহাম্মদ দুলাল আকন্দ বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুলের নামে পৃথক মামলা হয়েছে। সোমবারের ঘটনায় আরেকটি মামলায় খলিলুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।