রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছে একজনকে আটকের পর পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হারাগাছ থানা ঘেরাও করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি গাড়ি। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল ব্যবহার করেছে পুলিশ।
নিহত তাজুল ইসলাম (৫৫) হারাগাছ পৌর এলাকার দালাল হাট নয়াটারী গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, হারাগাছ থানা পুলিশ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হারাগাছ পৌর এলাকার নতুন বাজার বছি বানিয়ার তেপথি মোড়ে অভিযানে যায়। সেখানে তাজুল ইসলামকে মাদকসহ আটকের পর মারধর করে পুলিশ। পুলিশের মারধরে তিনি জ্ঞান হারান। পুলিশ তাকে ধাক্কা দিলে পাশে দেয়ালে আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এর প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে ভাঙচুর চালায় এলাকাবাসী।
তবে, মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
পিটিয়ে হত্যার অভিযোগের ব্যাপারে কাউনিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা তারিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন। তাকে পুলিশ ধরতে গিয়েছিল। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। মরদেহের সুরতহালের পর বিস্তারিত বলা যাবে।’
এলাকার পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘থানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে এলাকাবাসী অবস্থান নিলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’
হারাগাছ থানার (ওসি) শওকত আলী সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘তাজুল হেরোইন সেবন করছিলেন এমন খবর পেয়ে পুলিশ অভিযানে গিয়েছিল। আটকের পর তাকে হাতকড়া পরানো হয়। কিন্তু কাপড় নষ্ট করে ফেলায় পুলিশ তাজুলকে স্থানীয়দের জিম্মায় দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এর কিছুক্ষণ পর খবর আসে যে তিনি মারা গেছেন।