রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় ধর্ষণের পর এক বিধবা নারীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতের নাম আতিকা বেগম (৪৫)।

১৩ জুলাই মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ধোপাপাড়া-কারিগরপাড়া গ্রামের পাটক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত আতিকা বেগম উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের ধোপাপাড়া-কারিগরপাড়া গ্রামের মৃত আতাহার আলীর স্ত্রী।

এদিকে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই এলাকার চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

নিহতের ছেলে আতিকুর রহমান বলেন, গত পাঁচ বছর আগে বাবা মারা গেছেন। এর পর মা খেয়ে না খেয়ে আমাদের চার ভাইবোনকে বড় করেছেন। তিনি মানুষের বাড়িতে কাজের সঙ্গে কয়েকটি ছাগল পালন করতেন। এর মধ্যে আমাদের বড়বোনের বিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবারও মা মানুষের বাড়ির কাজ শেষে বিকা ছাগল চরাতে যান। কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে গেলেও মা আর বাড়ি ফেরেননি। রাতে আমরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর শুরু করি। একসময় প্রতিবেশী একজন শিক্ষকের পাটক্ষেতে মায়ের ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তার কিছুই বলতে পারব না।

ইউপি সদস্য শামীম হোসেন বলেন, রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি একটি পাটক্ষেতে ওই নারীর লাশ পড়ে আছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে— পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তার পর হাতের রগ কেটেছে এবং গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।

নিহতের মাথায় আঘাতের দাগ রয়েছে। থানায় খবর দিলে রাতে লাশ নিয়ে যায় পুলিশ।
তবে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পুলিশ রাতে ওই এলাকার চারজনকে ধরে নিয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে। বুধবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে— দুর্বৃত্তরা ওই নারীকে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া চূড়ান্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। আর চারজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন