রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে (১১) ধর্ষণের পর হত্যায় জড়িত সন্দেহভাজন আসামি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। নিহত যুবকের নাম শামীম (২১)।
রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতেখায়ের আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নিহত যুবকের কাছ থেকে শিশুটির বাড়ি থেকে চুরি হওয়া একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ ললিতনগর এলাকায় টহলে ছিল। এ সময় কয়েকজন দুষ্কৃতকারী পুলিশের ওপর হামলা চালালে পুলিশ গুলি চালায়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হন। আজ শুক্রবার সকালে পুলিশ তার পরিচয় নিশ্চিত করে।
গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সুমাইয়া বাড়িতে টিভি দেখে। এরপর একাই ঘুমাতে যায়। রোববার সকালে ঘুম থেকে উঠে তার বাবা-মা মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তারা বাড়ির পাশের একটি খড়ের পালার নিচে সুমাইয়ার মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে কাঁকনহাট পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহের যৌনাঙ্গে রক্তক্ষরণ দেখা গেছে। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে রাতের যেকোনো সময় শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এরপর মরদেহ খড়ের পালার নিচে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।
পুলিশ ঘটনার পর থেকে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সন্ধানে ছিল। মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের পর তারা নিশ্চিত হয়েছেন শিশু সুমাইয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে শামীম জড়িত। তার বিস্তারিত পরিচয় জানতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম।