মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ছাতিয়ানবাড়ী গ্রাম থেকে স্বপ্না বাড়ৈ নামে এক কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে রাজৈর থানা পুলিশ।
২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে তাদের নিজ বাড়ি থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া লাশটি উদ্ধার করা হয়। সে ছাতিয়ানবাড়ী গ্রামের গোপাল বাড়ৈর মেয়ে এবং টেকেরহাট শহীদ সরদার সাজাহান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী।
এলাকাবাসী জানায়, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ছাতিয়ানবাড়ি গ্রামের গোপাল বাড়ৈ দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার সুবাদে স্ত্রী আহ্লাদী বাড়ৈ সেনদিয়া গ্রামের দীনবন্ধু মন্ডলের ছেলে দেবদাস মন্ডলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। গোপাল বাড়ৈ দেশে ফিরে এসে স্ত্রীর পরামর্শ মোতাবেক দেবদাসের সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেন। ফলে উভয় পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। এ নিয়ে দেবদাস মন্ডলকে ছাতিয়ানবাড়ী এলাকাবাসী ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে উত্তমমাধ্যম দিয়ে সালিস-বৈঠকে জরিমানা করেছিল। তারপরেও থেমে থাকেনি তাদের এই সম্পর্ক। এই ঘটনায় লোকলজ্জার ভয়ে স্বপ্না বাড়ৈ আত্মহত্যা করেছে।
তবে স্বপ্নার মা আহ্লাদী বাড়ৈ বলেন, ‘আমার মেয়ে সকালে কলেজে গিয়েছিল। কলেজ থেকে ফেরার পর ওর মন খারাপ দেখা যায়। জিজ্ঞাসা করলে বলে কিছুই হয়নি। তারপর রাতে এই ঘটনা।’
স্বপ্নার বাবা গোপাল বাড়ৈ বলেন, ‘আমাদের পারিবারিক কলহ কিছুই হয়নি। কী কারণে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করল বুঝলাম না।’
দেবদাস মন্ডল বলেন, এলাকাবাসী শত্রুতাবশত আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। ওই পরিবারের সঙ্গে আমার ব্যবসায়িক সম্পর্ক। সেই সুবাদে ওই বাড়িতে যাওয়া আসা করতাম।
রাজৈর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাদিক বলেন, এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছে খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। তারা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর পাঠিয়েছে। রিপোর্টের পর বিস্তারিত জানা যাবে।