লক্ষ্মীপুরে দুইজন প্রধান শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন যুবলীগ নেতা সুমন হোসেন বাদশা। এ ঘটনায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) করা হয়েছে।

 

১১ জুলাই রোববার বিকালে জেলা যুবলীগের সভাপতি একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সুমন হোসেন বাদশা সদর উপজেলার দালালবাজার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি।

জেলা যুবলীগ নেতাদের ভাষ্যমতে, বাদশার বিরুদ্ধে দুইজন শিক্ষককে অপমান-অপদস্থ করার অভিযোগ উঠেছে। এতে দলীয় শৃঙ্খলা ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। এজন্য তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ অপরাধে তাকে কেন বহিষ্কার করা হবে না, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এর জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এলাকাবাসী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের নন্দনপুর বাজারে শনিবার রাতে মো. আমিনের ফার্মেসিতে শিক্ষক নিজাম উদ্দিন ও আক্তার হোসেনসহ কয়েকজন বসে কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে ফার্মেসির মালিক তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এরপর শিক্ষকরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

নিজাম উদ্দিন পাশের রায়পুর উপজেলার বামনীর কাজির দিঘীরপাড় সমাজকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও আক্তার হোসেন সদরের খিলবাইছা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক।

ফার্মেসিতে বাকবিতণ্ডার জের ধরে যুবলীগ নেতা সুমন হোসেন বাদশা সহযোগী যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে নন্দনপুর বাজারে গিয়ে শিক্ষক নিজাম উদ্দিনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এরপর বাড়িতে গিয়ে শিক্ষক আক্তার হোসেনকেও লাঞ্ছিত করা হয়।

এর প্রতিবাদ করায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ আলম পাটওয়ারী ও দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের আহবায়ক মোশারেফ হোসেনকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।

কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য মোজাম্মেল মিশু ও জেলা যুবলীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন আরিফ ওই দুই শিক্ষককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। স্ট্যাটাসে অনেকেই কমেন্টস করে শিক্ষকদের লাঞ্ছিতের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু বলেন, শিক্ষকদের অপমান-অপদস্থ করার অভিযোগ পেয়েছি। যুবলীগ নেতা বাদশাকে শোকজ করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন