ভোলার লালমোহনের গজারিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. রফিকুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেয়া ছাড়াও পরিধেয় পাঞ্জাবিও টেনে ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। অধ্যক্ষের এমন কর্মকাণ্ডে বিব্রত হলেও ভয়ে এসব নিয়ে মুখ খুলতে চান না প্রতিষ্ঠানের অন্য শিক্ষকরা।

 

মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আম্মান, দশম শ্রেণির রাজ্জাক, ওমর, জিহাদ ও দাখিল পরীক্ষার্থী মেহেদি জানায়, মাদ্রাসায় গোল পাঞ্জাবি ছাড়া অন্য পাঞ্জাবি পরলে তা টেনে ছিঁড়ে ফেলেন অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম খান। এ ঘটনার সঠিক বিচার কামনা করছে ভুক্তভোগী এসব শিক্ষার্থী।

মাদ্রাসা ছাত্রলীগের সভাপতি আকরাম বলেন, বিভিন্ন সময় মাদ্রাসার অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা তার কাছে এসব ঘটনায় অভিযোগ জানিয়েছে। তবে অধ্যক্ষের সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে আলাপ করলেও তিনি তার কথার কোনো পাত্তা দেননি।

গজারিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. রফিকুল ইসলাম খান জানান, কোনো শিক্ষার্থীর পাঞ্জাবি ছেঁড়া হয় না। মাদ্রাসার নির্ধারিত পোশাক না পরলে তাদের কেবল ভয় দেখানো হয়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এ ধরনের কোনো ঘটনার অভিযোগ পাননি তিনি। অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান এই শিক্ষা কর্মকর্তা।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন