বাবা হবার সংবাদ শুনে স্থির থাকতে পারেনি মঙ্গল ঘরামী। তাই জীবনের ঝুকি নিয়ে ছুটে এসেছিল বাড়ীতে। ভেবেছিল স্ত্রী ও সন্তানকে দেখে ফিরে যাবে আবার অজ্ঞাতবাসে। কিন্তু তার এই বাড়ী ফেরাই কাল হয়ে দাঁড়াল। প্রতিপক্ষ বিএনপির আশ্রিত সর্বহারা সন্ত্রাসীরা টের পেয়ে যায় তার অবস্থান। তাকে বেধড়ক পিটিয়ে তার হাত পা ভেঙ্গে দেয়। গৌরনদীর চন্দ্রহার গ্রামে মঙ্গল ঘরামীর বাড়ী। সে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা ও বাটাজোর ইউপির সাবেক সদস্য। গত ২৯ অক্টোবর দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে দেখতে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। শেখ হাসিনাকে দেখতে পেয়ে হাউ মাউ করে কেঁদে ফেলে মঙ্গল ঘরামী। আবেগ সংবরণ করতে পারেননি শেখ হাসিনাও। তিনি তাকে সান্তনা দেন এবং তার চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। এসময় তার সাথে ছিলো সদর আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী এডঃ শওকত হোসেন হিরন, আফজালুল করিম ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি বলরাম পোদ্দার। মঙ্গল ঘরামী জানান, নির্বাচনের পর থেকে প্রতিপক্ষের হুমকি ধমকিতে তিনি এলাকাছাড়া। স্ত্রী ছিলেন সন্তান সম্ভবা। তার উপরে হামলার কয়েকদিন আগে মঙ্গল ঘরামীর স্ত্রীর কোল আলো করে সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। এ খবর জানার পর মঙ্গল ঘরামী আর স্ত্রীর থাকতে পারেননি। স্ত্রী ও সন্তানকে দেখার জন্য ছুটে আসেন বাড়ীতে। বাড়ীতে তার উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা হামলা করে। বেধড়ক পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দেয়। মুমূর্ষু মঙ্গল ঘরামীকে ভর্তি করা হয় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শেখ হাসিনা এছাড়াও বাবুগঞ্জের রাকুদিয়া আবুল কালাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান এবং হিজলার গিয়াস উদ্দিনকেও দেখতে যান। আবু সুফিয়ানের পায়ে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। তিনি তাদেরও খোঁজখবর নেন।

দৈনিক জনকণ্ঠ, ১১ নবেম্বর ২০০১

মন্তব্য করুন