শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুড়ী এলাকায় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কৃষকদের সবজি আবাদ ও সুপারির বাগান কাটার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।

 

২৩ আগস্ট সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের (বাগাছাস) উপজেলা শাখার আয়োজনে শেরপুর শহরে এসব কর্মসূচি পালিত হয়।

দুপুরে শহরের রঘুনাথ বাজার থানা মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন আদিবাসী নেত্রী কেয়া নকরেক, বাগাছাসের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি লিংকন দিব্রা, আয়োজক সংগঠন বাগাছাস শ্রীবরদী উপজেলা শাখার সভাপতি জীবন ম্রং, সাধারণ সম্পাদক মর্নিংটন ম্রং, নালিতাবাড়ী শাখার সদস্য অভিষেক দিও, ঝিনাইগাতী শাখার আহ্বায়ক মিখাইয়েল নেংমিনজা, মধুপুর শাখার সভাপতি মিলন দফো প্রমুখ।

মানববন্ধনে জীবন ম্রং বলেন, যুগ যুগ ধরে শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুড়ী গ্রামে অর্ধশতাধিক আদিবাসী পরিবার তাদের দখলে থাকা ভূমিতে বসবাস করে আসছে। তারা এসব ভূমিতে কৃষি আবাদ, ফলদ ও সবজি বাগান করে জীবিকা নির্বাহ করছে। কিন্তু ১২ আগস্ট বন বিভাগের বালিজুড়ী রেঞ্জের কিছু কর্মকর্তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বালিজুড়ী গ্রামের ভারতি মৃ, সবানী সিমসাং, প্রমণি চিরাং, কমলা রেমা ও সবিতা মৃর আবাদ করা প্রায় পাঁচ একর জমির বরবটি, করলা ও বেগুনসহ সবজি আবাদ এবং সুপারি বাগানের গাছ কেটে দেন। এতে তাঁরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ও জীবিকা নির্বাহে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার করতে ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিতে সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।

মানববন্ধন শেষে আয়োজক সংগঠনের নেতারা প্রধানমন্ত্রী বরাবর লিখিত সাত দফা দাবিসংবলিত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক মোমিনুর রশীদের কাছে হস্তান্তর করেন। স্মারকলিপি গ্রহণ করে মোমিনুর রশীদ বলেন, এটি দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে। এ ছাড়া আদিবাসীদের বসবাসে যাতে কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি না হয়, সেদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বন বিভাগের ভূমি সংরক্ষণের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।

প্রথম আলো

মন্তব্য করুন