শেরপুরের প্রত্যন্ত পল্লীতে ১২ বছর বয়সী তৃতীয় শ্রেণী পড়ুয়া এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দিনগত রাতে সদর উপজেলার ধলা ইউনিয়নের পাঞ্জড়ভাঙা উলাকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতা শিশুটি স্থানীয় হতদরিদ্র কৃষক পরিবারের মেয়ে।

 

ধর্ষণে অভিযুক্তরা হচ্ছেন- একই গ্রামের তমিছ আলীর ছেলে কলেজছাত্র ফোরকান আলী ও হারেজ আলীর ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী শাহীন মিয়া। ধর্ষিতা শিশুটি ফোরকানের দুরসম্পর্কের ভাগ্নী ও শাহিনের ভাতিজি। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।

জানা গেছে, ফোরকান ও শাহিন বেশ কিছুদিন থেকেই ওই শিশুকে উত্ত্যক্ত করতো। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই শিশু তার বাড়ির পাশে টিউবওয়েলে পানি আনতে যায়। এ সময় আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা ফোরকান ও শাহিন ওই শিশুর মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে কোলে করে বাড়ির পাশের একটি ধানক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং কাউকে কিছু না বলার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে ধর্ষিতা শিশু অসুস্থ অবস্থায় অন্ধকারে পথ হারিয়ে পার্শ্ববর্তী চান্দের নগর গ্রামের কৃষক ইমরান মিয়ার বাড়ির গোয়ালঘরে আশ্রয় নেয়। ওইদিন রাতেই কৃষক ইমরান তার গোয়ালঘরে ঢুকে ধর্ষিতা শিশুর শরীরে কাদামাখা অবস্থায় দেখতে পায় এবং শিশুকে তার বাড়িতে বাবা-মার কাছে দিয়ে আসে। পরে শিশুটি তার বাবাকে সব ঘটনা খুলে বলে। এ ঘটনায় ধর্ষকদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সঠিক বিচার দাবি করেছেন শিশুর বাবা।
ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সময় নিউজ টিভি

মন্তব্য করুন