সাঁথিয়া উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামের ষাটোর্ধ্ব এক দরিদ্র বিধবাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। একই গ্রামের মৃত দানেজ মোল্লার ছেলে মাজেদ মোল্লার (৬৫) বিরুদ্ধে এই ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঐ নারী থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেওয়া হয়নি। উলটো স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ধর্ষকের লোকজন তার হাতে ১০ হাজার টাকা দিয়ে মামলা করতে পারবে না শর্তে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়।

 

জানা গেছে, ঐ নারী (৬২) ১১ জুন শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশে ট্রেন রাস্তার উত্তর পাশে পাটখেতে শাক তুলতে যান। এ সময় মাজেদ মোল্লা তাকে ধর্ষণ করে। ঐ নারী চিত্কার শুরু করলে গ্রামের একজন এগিয়ে আসে ও মাজেদ মোল্লা পালিয়ে যায়। বিষয়টি ঐ দিন রাতে রঘুরামপুর গ্রামের আজগর আলীর বাড়িতে মীমাংসার চেষ্টা করা হলেও মীমাংসা হয়নি। পরদিন ধর্ষণের শিকার নারী দুই আত্মীয়কে নিয়ে সাঁথিয়া থানায় মামলা করতে যান।

অজ্ঞাত কারণে থানার পুলিশ রাত ১২টা পর্যন্ত ঐ নারীকে থানায় বসিয়ে রাখেন। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারের উপস্থিতে থানা চত্বর থেকেই ঐ নারীকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। রবিবার (১৩ জুন) সকাল থেকে ঐ নারীকে বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছে না। মাজেদ মোল্লার পরিবারের লোকজনের ভয়ে ঐ নারী বাড়িছাড়া বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে থানায় উপস্থিত থাকা গ্রাম্য প্রধানরা জানান, ঐ নারীকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। তাকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বলা হয়েছে। ঐ নারীর আত্মীয় আবদুল সামাদ জানান, থানায় আমাদের আটকে রাখা হয়। পরবর্তীকালে এ ঘটনা নিয়ে কোনো অভিযোগ না করার শর্তে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রাখা হয়।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। আমরা তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।

ইত্তেফাক

মন্তব্য করুন