পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে বাউফল প্রেস ক্লাবের সভাপতি কামরুজ্জামান বাচ্চুকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে প্রেস ক্লাব সভাপতি বাচ্চু ২৫ জুলাই রোববার রাতে বাউফল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত ৮টা ৪২ মিনিটের সময় শাহিন হাওলাদার তার মোবাইল ফোন থেকে কামরুজ্জামানের মোবাইল ফোনে কল করে গালাগাল করেন এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। একপর্যায়ে শাহিন হাওলাদার বলেন- আমার বিরুদ্ধে নিউজ করতে পার, উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নিউজ করতে পার না? তোর খবর আছে। তোরে বিভিন্ন মামলা দিয়ে জেল খাটামু। এরপর কামরুজ্জামান বাচ্চু ফোন কেটে দেন।
গত ২৫ জুন ক্ষমতার অপব্যবহার করে সালিশের সুযোগ নিয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরীকে (১৪) বিয়ে করে ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার ব্যাপক সমালোচিত হন। এ সংক্রান্ত একাধিক প্রতিবেদন বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হয়।
আর পত্রিকায় এ সংক্রান্ত প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আসার পর ২৭ জুন হাইকোর্ট ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। পটুয়াখালীর ডিসি, জেলা নিবন্ধক ও পিবিআইকে তদন্ত করে আলাদা তিনটি প্রতিবেদন পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে দাখিল করতে বলা হয়।
এরপর থেকেই স্থানীয় সাংবাদিকদের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার।
অবশ্য হুমকির বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, প্রেস ক্লাব সভাপতি কামরুজ্জামান বাচ্চু আমার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় বিভিন্ন পত্রিকায় তিনি আমার বিয়ে নিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করান। আমি শিগগিরই এ বিষয়ে আইনের আশ্রয় নেব। আর রোববার রাতে তাকে হুমকি দেয়া হয়নি। ফোনে বলেছি, আমার বিয়ের বিষয়ে যদি নিউজ হয়। তাহলে উপজেলা চেয়ারম্যানের পরকীয়া প্রেমের অডিও ভাইরালের বিষয়ে কেন নিউজ করলেন না? এরপর তিনি (কামরুজ্জামান) ফোন কেটে দিয়েছেন।
বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।