সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় বোরকা পরে ঘরে ঢুকে তিন সন্তানের জননী এক বিধবাকে ধর্ষণ করেন ছাত্রদল নেতা জুবায়ের হাসান শিপু। তার গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সিলেটে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সিলেটের কানাইঘাটবাসীর উদ্যোগে সোমবার দুপুর ২টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কানাইঘাটের জুবায়ের হাসান শিপু নামে এক ছাত্রদল নেতা রাত ১২টার পর বোরকা পরে ঘরের দরজা কেটে গৃহে প্রবেশ করে তিন সন্তানের জননী এক বিধবাকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই নারী জুবায়েরের প্রতিবেশী ও একই গ্রামের বাসিন্দা। এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিকটিম নারীর ১১ বছর বয়সী একটি মেয়ে, ৮ ও ৪ বছর বয়সী দুইটি ছেলে রয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে মারা যান তার স্বামী। ঘটনার রাতে বিধবা নারীর তিন সন্তানের বড় দুইজন ছিল তাদের মামার বাড়িতে। ওই সুযোগ কাজে লাগায় অভিযুক্ত জুবায়ের।

ধর্ষণ শেষে ফিরে যাওয়ার সময় বিধবা নারীর মোবাইল নম্বর নিয়ে যায়। পরের দিন ফোন করে বলে সে আবারো আসবে। সুযোগ না দিলে বড় ধরনের ক্ষতি করবে।

এ ব্যাপারে গত ১ মার্চ কানাইঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার পর বেশ কয়েক দিন অতিবাহিত হলেও আসামিকে এখনো ধরা হয়নি। আসামি গ্রেফতারে কানাইঘাট থানা পুলিশ আন্তরিক হলেও আমরা চাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। এ ন্যক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু ও দ্রুতবিচার নিশ্চিত করতে পুলিশ সুপারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ কামনা করেন তারা।

এ ব্যাপারে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। এরপর থেকেই পুলিশ বাদীর সহযোগিতায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। শিগগিরই আসামি গ্রেফতার হবে।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন