ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় বিয়ের কথা বলে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার একটি গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার যুবকের নাম মো. ইসমাইল (২৭)। মামলার অপর আসামি ইসমাইলের ছোট ভাই মো. রিপন (২০) পলাতক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী ও মো. রিপন একই এলাকার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে রিপন ওই কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। একপর্যায়ে রিপনের সঙ্গে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের কথা বলে গত শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটায় রিপন মুঠোফোনে মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে রান্নাঘরে ধর্ষণ করেন। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে তার বাড়ির লোকজন এসে রিপনকে আটক করেন। রাতেই খবর পেয়ে রিপনের বড় ভাই ইসমাইল ঘটনাস্থলে এসে মেয়েটির সঙ্গে রিপনের বিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তাঁকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। শনিবার সকালে ইসমাইল বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে রিপনকে অন্য কোথাও পাঠিয়ে দেন। সেই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য কিশোরীর পরিবারকে হুমকি-ধমকি দেন।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে কিশোরীর মা বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা করেন। মামলায় মো. রিপন ও তাঁর বড় ভাই মো. ইসমাইলকে আসামি করা হয়েছে।

কিশোরীর মা বলেন, রাতের ঘটনা অস্বীকার করায় শনিবার দিনভর তিনি স্থানীয় সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়িয়েছেন। সমাজপতিরা তাঁকে থানায় গিয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেন। পরে তিনি মামলা করেন। তিনি রিপন ও তাঁর ভাই ইসমাইলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।

সোনাগাজী মডেল থানার উপরিদর্শক (এসাআই) মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, আজ সকালে ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁর জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম বলেন, রিপনের ভাই ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে রিপন পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

প্রথম আলো

মন্তব্য করুন