হাজীগঞ্জে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইমামকে আটক করেছে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। ২০ মে সোমবার দুপুরে আটক ইমামকে চাঁদপুর আদালতে হাজির করলে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান।
আটক ইমাম চাঁদপুর সদর উপজেলার দেবপুর জামে মসজিদে কর্মরত ছিলো। তার নাম মোঃ মোজাম্মেল হক। সে শাহরাস্তি উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের মুড়াগাও ভূঁইয়া বাড়ির মোহাম্মদ জাফর আলী মিয়ার ছেলে।
ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাড়ি চাঁদপুর সদর এলাকার দেবপুর গ্রামের মজুমদার বাড়ি। সে অন্ধ হাসান মজুমদারের মেয়ে। কিশোরীর বাবা অন্ধ হওয়ায় স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে দিনের বেলায় হাজিগঞ্জ বাজারে ভিক্ষা করেন। কিশোরীর মা ফরিদা বেগম বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করেছেন।
হাজীগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার কিশোরীটি প্রতিবন্ধী পরিবারের। তাদের সরলতার সুযোগে ইমাম মোজাম্মেল হক তাকে ইংরেজি পড়ানোর কথা বলে ওই পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে কিশোরীকে ভালোভাবে পড়াবে বলে গত ১৭ ই নভেম্বর হাজিগঞ্জ বাজারের মকিমাবাদ ৪ নং ওয়ার্ড হাজী ম্যানশনের একটি ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নেয়। মাত্র একদিন ওই কিশোরীকে পড়ানোর কথা বলে ফ্ল্যাটে নিয়ে আসে। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে ইমাম মোজাম্মেল হক।
ঘটনার পর কিশোরীটি পরিবারের কাছে সব খুলে বলে। প্রতিবন্ধী পরিবারটি মান-সম্মানের ভয়ে কাউকে কিছু না বলে গোপনে ধর্ষক ইমামকে খুঁজতে থাকে। ৬ মাস পর আজ সোমবার সকালে হাজীগঞ্জ বাজারে ধর্ষক ইমামের সন্ধান পেয়ে তাকে ধরে ফেলে কিশোরীর ভিক্ষুক বাবা-মা।
এরপর স্থানীয় জনতা ইমামকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ তাকে আটক করে সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠায়।
হাজিগঞ্জ থানা ওসি মো. আলমগীর হোসেন রনি বলেন, ইমামের মোবাইলে ওই মেয়েটির আপত্তিকর ছবি পাওয়া গেছে। মেয়েটিকে ইংরেজি পড়ানোর নাম করে ইমাম সরলতার সুযোগ নেয়। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক ছিল। অন্ধ বাবা ও মা ভিক্ষা করতে এসে তাকে ধরে ফেলে।
তিনি আরও জানান, ওই ইমাম একটি বাসা ভাড়া নিয়ে মাত্র ৫০০ টাকা দিয়ে একদিন ছিল ওই ফ্ল্যাটে। সোমবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। চাঁদপুর বিজ্ঞ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠায়।