উপকূলীয় জেলা ভোলার হিন্দু কল্যাণ পরিষদ গতকাল সোমবার ঢাকায় রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জেলার সর্বত্র সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ব্যাপক নির্যাতনের অভিযোগ এনেছে। সংবাদ সম্মেলনের
লিখিত বক্তব্যে গত ১৩ জুলাই থেকে জেলার তজুমুদ্দিন, দৌলতখান, চরফ্যাশন, লালমোহন ও বোরহানউদ্দিন এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর চাঁদাবাজি, লুটপাট, ভাঙচুর, ঘরবাড়ি ধ্বংস, শারীরিক নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর বিস্তারিত উপস্থাপন করা হয়েছে।

হিন্দু কল্যাণ পরিষদের ভোলা জেলা শাখার সভাপতি প্রহ্লাদ চন্দ্র দে লিখিত বক্তব্য শোনান। অন্যান্যের মধ্যে পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি রতেœশ্বর দেবনাথ, অন্যতম সম্পাদক কৃষ্ণকুমার সোম এবং অ্যাডভোকেট হরিকমল দে উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৪ জুলাই তজুমুদ্দিন থানার খাসেরহাটের নয়জন হিন্দু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এবং দুদিন পরে আবার ডাউরি হাট থেকে খাসেরহাট এলাকা পর্যন্ত হিন্দুদের দোকান ও বাড়িঘর থেকে চাঁদা আদায় করা হয়েছে বলে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়েছে। লিখিত বক্তব্যে দৌলতখান, চরফ্যাশন, লালমোহন ও বোরহানউদ্দিন এলাকার চিত্র অনুরূপভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। এর জন্য কারা দায়ী জানতে চাইলে নেতৃবৃন্দ বলেন, মূলত বিএনপির আশ্রয়পুষ্ট সন্ত্রাসীরা এসব ঘটনায় যুক্ত রয়েছে। তবে বিচ্ছিন্নভাবে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের লোকজনও জড়িত রয়েছে বলে তারা জানান। ভোলার সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নেতৃবৃন্দ ইতিমধ্যে চাঁদাবাজি ও লুটপাট করে নিয়ে যাওয়া অর্থ ও সম্পদ ফেরত দেওয়া, এসব ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তি প্রদান, সংখ্যালঘুদের উদ্দেশ্য করে উস্কানিমূলক বক্তব্য নিষিদ্ধ করা এবং সংখ্যালঘু এলাকায় পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের দাবি করা হয়েছে।

প্রথম আলো, ২৪ জুলাই ২০০১

কৃতজ্ঞতা: শ্বেতপত্র-বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ১৫০০ দিন

মন্তব্য করুন