রাজশাহী মহানগরী ও জেলার ৯টি উপজেলায় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই মোট ২৮টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা ২১টি ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে সাতটি।
আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহীর বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘অ্যসোসিয়েশন ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডি’ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জানুয়ারি মাসের নারী ও শিশু নির্যাতনের আলোচিত ঘটনাগুলোর মধ্যে ছিল ০২ জানুয়ারি রাজশাহী নগরীতে স্বামীর নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ, ০৪ জানুয়ারি দূর্গাপুরে কলেজছাত্রী ধর্ষিত, ০৯ জানুয়ারি বাঘায় প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা, ১০ জানুয়ারি দুর্গাপুরে কলেজছাত্রী ধর্ষণের শিকার, ১৩ জানুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কলেজছাত্রী অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, ১৮ জানুয়ারি তানোরে মা-মেয়েকে মারপিট, ২২ জানুয়ারি বাঘায় সুপার ভ্যাসমল তেল পান করে নারীর আত্মহত্যা এবং ৩০ জানুয়ারি পুঠিয়ার বানেশ্বরে শিশুর সামনে পেট্রোল ঢেলে মায়ের গায়ে দুর্বৃত্তদের আগুন দেওয়ার মতো ঘটনা।
এতে আরও বলা হয়েছে, জেলায় চলতি মাসে ২১টি নারী নির্যাতনের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মহানগরীতে ১১টি। মহানগরীর বাহিরের উপজেলাসমূহে সংঘটিত হয়েছে ১০টি নির্যাতনের ঘটনা। এর মধ্যে বাঘায় চারটি, পুঠিয়ায় তিনটি, তানোরে দুইটি এবং দুর্গাপুরে একটি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। তবে বাগমারা, চারঘাট, গোদাগাড়ি, পবা, মোহনপুর উপজেলায় কোনো নির্যাতনের খবর পাওয়া যায়নি।
ঘটনাগুলোর মধ্যে হত্যার চেষ্টা চারটি, ধর্ষণ একটি, অপহরণ চারটি, অ্যাসিড নিক্ষেপ একটি, আত্মহত্যা ছয়টি, আত্মহত্যার চেষ্টা তিনটি এবং অন্যান্য ঘটনা ঘটেছে দুটি।
এ ছাড়া জেলায় চলতি মাসে শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে সাতটি। এর মধ্যে মহানগরীতে সংগঠিত হয়েছে তিনটি এবং মহানগরীর বাইরের ৯টি উপজেলায় সংঘটিত হয়েছে চারটি। এর মধ্যে বাঘায় দুটি, মোহনপুরে একটি এবং দুর্গাপুরে একটি শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। পবা, চারঘাট,পুঠিয়া, তানোর এবং বাগমারা উপজেলায় কোনো শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি।
সূত্রঃ আমাদেরসময়