টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এক মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করে জখম করার অভিযোগে বায়জিদ হোসেন নামের এক শিক্ষককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেব নাথ।
দণ্ডপ্রাপ্ত উপজেলার জামিয়া ওসমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
বুধবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষককে এ দণ্ডাদেশ দেন তিনি। দণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বায়জিদ হোসেন নরসিংদী জেলার মনহরদি উপজেলার চর-মান্দুলিয়া গ্রামের সাব্বির হোসেনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ওই শিক্ষককে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, ৬ মার্চ বুধবার সন্ধ্যায় কালিহাতী উপজেলা সদরের জামিয়া ওসমানিয়া আরাবিয়া (পোস্ট অফিস সংলগ্ন) মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগে অধ্যায়নরত একই উপজেলার চামুরিয়া গ্রামের জোবায়ের হোসেন রাহাতকে (৯) দেখতে আসেন তার বাবা বাবুল হোসেন মিলন। এ সময় ছেলেকে কান্না করতে দেখে কি হয়েছে জানতে চান তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে ছেলের কান্নার ঘটনা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেত্রাঘাতের অসংখ্য জখমের চিহ্ন দেখতে পান। পরে এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ মাদ্রাসা ছাত্র রাহাতের বাবা মিলন ওই প্রধান শিক্ষকের বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ অভিযোগের তদন্ত ও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ওই প্রধান শিক্ষককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত দেব নাথ জানান, উপজেলা সদরের জামিয়া ওসমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগে অধ্যায়নরত ওই ছাত্রকে বেত্রাঘাত করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করেন মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক বায়জিদ হোসেন। এ ঘটনায় ছাত্রের বাবা প্রধান শিক্ষকের ওই নির্যাতনের বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ও তদন্তে ছাত্র নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়ায় অভিযুক্ত মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক বায়জিদ হোসেনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন বলেন, ওই শিক্ষককে বৃহস্পতিবার জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে হয়েছে।