বৃহত্তর নোয়াখালীর পল্লীতে এমন কোন হিন্দু বাড়ী নেই যেখানে কমবেশী লুট, মারধর ও নির্যাতন হয়নি। চাঁদা দাবী করা হয়েছে হাজার হাজার টাকা। ১৫টি উপজেলার সর্বত্র অত্যাচার-নির্যাতন, নারীদের উপর হামলা করা হয়েছে। ১ অক্টোবর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত এ অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের উপর অমানবিক, অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জে কম করে ২৫ জনকে পিটিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে । নাট মন্দির, শিব মন্দির ভাংচুর এবং বিগ্রহ নিয়ে গিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ উপজেলায় ২২টি বাড়ী লুট করা হয়। একই অবস্থা ১৫টি উপজেলার সর্বত্র। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শেষ সময় আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের আদেশ নির্দেশের তেমন তোয়াক্কা না করায় হিন্দু বাড়ী লুট করে এ সময় এক কলঙ্কময় অধ্যায়ের সৃষ্টি করা হয় দেশব্যাপী। অনেকে প্রাণের ভয়ে নীরবে চাঁদাও দিয়েছে। এখানে হিন্দু সম্প্রদায় নির্যাতনের শিকার হয়েছে অধিক হারে। কয়েকজন বিএনপি নেতা বলেছেন, তত্ত্বধায়ক সরকারের আমলে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। এতে দায়-দায়িত্ব তাদের। হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃত্ববৃন্দ এবারের অত্যাচারের প্রতিবাদ কিভাবে করবেন তার ভাষা খুঁজে পাননি। বিএনপির ক্যাডারদের মহড়ায় এখানে সংখ্যালঘুরা অসহায়ের মত বিনিদ্র রাত যাপন করে।
দৈনিক খবর, ২০ অক্টোবর ২০০১