১১ দলের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় দেশব্যাপী ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর হামলা, সন্ত্রাস, জুলুম, ধর্ষণ, নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। বুধবার সিপিবি কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। মঞ্জুরুল আহসান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় আলহাজ আব্দুস সামাদ, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাইফুদ্দিন আহমেদ মানিক, বিমল বিশ্বাস, অজয় রায়, পঙ্কজ ভট্টাচার্য, দিলীপ বড়ুয়া, বজলুর রশিদ ফিরোজ, তোফাজ্জল হোসেন, মাহমুদুর রহমান বাবু, আবু হামেদ শাহাবউদ্দিন, শরাফত আলী হীরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভায় সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে নিম্নোক্ত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। ১১ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ববৃন্দ আগামী ৮ ও ৯ ডিসেম্বর কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে সংখ্যালঘু মানুষের ওপর হামলা-অত্যাচার হয়েছে এ ধরনের বেশ কয়েকটি জেলা সফর, ১১ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় ঢাকায় মনি সিংহ ফরহাদ স্মৃতি ট্রাস্ট ভবনের শহীদ তাজুল মিলনায়তনে সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাস বিষয়ক এক আলোচনাসভা করবেন। গণফোরামের প্রতিবাদ সমাবেশ দেশব্যাপী আদিবাসীসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘু নারী ও শিশুকন্যা ধর্ষণ, হত্যা, লুট, অগ্নিসংযোগ, চাঁদাবাজিসহ প্রায় দু’মাসব্যাপী সংঘটিত নৃশংস বর্বর ঘটনার প্রতিবাদে মহানগরী গণফোরাম মঙ্গলবার বিকালে মুক্তাঙ্গনে এক সমাবেশ করে। সভায় বক্তৃতা করেন সাইফুউদ্দিন আহমেদ মানিক, পঙ্কজ ভট্টাচার্য, সগীর আনোয়ার, সাইদুর রহমান সাইদ, জাহানারা বেগম, সালেহ আহমেদ, আব্দুস সাত্তার পাঠান, হারুন রশিদ তালুকদার প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। সাইফুউদ্দিন মানিক বলেন, ‘বর্তমান সরকার পূর্ববর্তী সরকারের সন্ত্রাসের কথা বলে ক্ষমতাসীন হয়ে দেশব্যাপী ধর্মীয় সংখ্যালঘু নরনারী শিশু নির্যাতন, শিক্ষাঙ্গন, পরিবহন, ব্যবসা-বাণিজ্য-টেন্ডার দখল, ও চাঁদাবাজির যে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে তাতে জ্বলন্ত চুলার রাজত্ব থেকে জ্বলন্ত আগুনের রাজত্বে জনগনের নিরাপত্তা, গণতন্ত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তি আজ বিপন্ন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
দৈনিক জনকন্ঠ, ২৯ নবেম্বর, ২০০১