চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় এক যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম আবদুর নুর (২৮)।
পুলিশের দাবি, নিহত আবদুর নুর গার্মেন্টসকর্মীকে ধর্ষণ মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে আরও তিনটি মামলা রয়েছে।
রোববার ভোরে উপজেলার চৌমুহনী এলাকায় ইকোনমিক জোনের পাহাড়ের ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আবদুর নুর আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ এলাকার আবদুস সাত্তারের ছেলে। তিনি গার্মেন্টসকর্মীকে ধর্ষণের মূল পরিকল্পনাকারী বলে জানিয়েছেন আনোয়ারা থানার ওসি দুলাল মাহমুদ।
তিনি জানান, ইকোনমিক জোনের পাহাড়ের ভেতরে আবদুর নুরের গুলিবিদ্ধ মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।
নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে প্রতিপক্ষরাই তাকে গুলি করে হত্যা করে থাকতে পারে।
আবদুর নুরের বিরুদ্ধে ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনটি মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।
গত ৩ জুলাই আনোয়ারা উপজেলায় রাতে কোরিয়ান ইপিজেডের এক নারী শ্রমিক অটোরিকশায় বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় তাকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে গণধর্ষণ করা হয়।
গত শুক্রবার রাতে এ ধর্ষণের ঘটনায় সিএনজি অটোরিকশাচালক মো. মামুন (২১) ও মো. হেলাল উদ্দিনকে (৩০) গ্রেফতার করে পুলিশ।
শনিবার বিকালে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়ন্তী রানী রায়ের আদালতে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তারা।
আসামি হেলালের বাড়ি পটিয়া উপজেলার ছনহরা এলাকায় এবং মামুনের বাড়ি আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ এলাকায়।