পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই সন্তানের জনক রুহুল আমিন (৬০) নামের এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী এখন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনায় এলাকায় দারুণ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

 

ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর বাবা রোববার (১২ এপ্রিল) দুপুরে মঠবাড়িয়া থানায় মামলা করলে দুপুরেই পুলিশ ধর্ষক রুহুল আমিনকে উপজেলার তুষখালী ইউনিয়নের জানখালী নতুন বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। রুহুল আমিন ওই এলাকার রাঙ্গা ছত্তার হাওলাদারের জামাতা ও উপজেলার দক্ষিণ মিঠাখালী গ্রামের মৃত. মফেজ উদ্দিনের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী প্রায়ই একই গ্রামের জনৈক মহানন্দের বাড়িতে পান কিনতে যেত। গত ৬/৭ মাস আগে ওই স্কুলছাত্রী পান কিনতে যাবার পথে রুহুল আমিন খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে রাস্তার পাশের বাগানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর ওই ছাত্রীকে হুমকি দিয়ে বলে- ‘কাউকে বললে তোকে খুন করব’। পরে গত শনিবার বিকেলে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি ওই স্কুল ছাত্রীর পরিবারের নজরে আসলে রোববার দুপুরে থানায় এসে মামলা করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ.জ.ম মাসুদুজ্জামান মিলু বলেন, ধর্ষক রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

সমকাল

মন্তব্য করুন