বিচারক অন্য মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ নিয়ে ব্যস্ত।এ কারণে লেখক, ভাষাবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার যুক্তি উপস্থাপন শুনানি হয়নি। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৭ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (১৫ মার্চ) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ বিচারক মাকছুদা পারভীন এ আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলা অ্যাকাডেমির উল্টোদিকে ফুটপাতে সন্ত্রাসী হামলায় মারাত্মক আহত হন লেখক হুমায়ুন আজাদ। হামলায় পর তিনি ২২ দিন সিএমএইচে এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসা নেন। ওই বছরের ১২ আগস্ট তিনি জার্মানির মিউনিখে মারা যান। ওই ঘটনার পরদিন তার ছোট ভাই মঞ্জুর কবির বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। পরে তা হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। এছাড়া একই ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনেও অপর একটি মামলা হয়।
এরপর ২০০৭ সালের ১১ নভেম্বর মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে একটি চার্জশিট দাখিল করেন। ওই চার্জশিটে আবুল আব্বাস ভূঁইয়া ও গোলাম মোস্তফা নামে দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলো– জেএমবির শুরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শাউন, আনোয়ার আলম, হাফিজ মাহমুদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু। আসামিদের মধ্যে সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু পলাতক এবং হাফিজ মাহমুদ মারা যায়।
২০০৯ সালের ৬ অক্টোবর এই মামলার বাদী মো. মঞ্জুর কবির মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করেন। পরে বিচারক ২০ অক্টোবর আবেদন মঞ্জুরসহ মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন। ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল ওই মামলার তদন্ত শেষে সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান পাঁচ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। একই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর ওই পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ গঠন করেন আদালত।