একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ঘরের বেড়া কেটে ভিতরে ঢুকে সদ্য বিবাহিত এক সংখ্যালঘু যুবতীকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এই ঘটনা ঘটেছে কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমকালী ইউনিয়নের উত্তর পাতলী গ্রামে। হতভাগী সংখ্যালঘু যুবতী বিয়ের মাত্র ১৬ দিনের মাথায় বাপের বাড়িতে নাইয়রে (বেড়াতে) এসেই অপহরণের শিকার হয়েছে। দিনমজুর পিতা সুধাংশু কুমার শর্মা অপহরণ ঘটনার পর গত এক সপ্তাহ ধরে থানা আদালত ছোটাছুটি করলেও অপহৃতা কন্যার সন্ধান পাননি। বরং পুলিশ ও অপহরণকারীদের উল্টো হুমকির সম্মুখীন তিনি। বিশ কড়া ভিটা বিক্রি ২০ হাজার টাকাসহ আত্মীয়স্বজনের দেয়া ৪০ হাজার টাকা খরচ করে সুধাংশু তাঁর জ্যেষ্ঠ কন্যা ননা বালা শর্মাকে (১৯) গত ২৬ মে জালালাবাদ গ্রামের যুবক স্বপন কুমার শর্মার নিকট বিয়ে দেন। তাঁর রয়েছে আরও দু’কন্যা। দিনমজুরি করেই সুধাংশু কুমার শর্মা জীবনধারণ করেন। বিয়ের পর কন্যা ননা বালা যথারীতি নাইয়রে আসে বাপের বাড়িতে। গত ১৩ জুন রাতে প্রবল বর্ষণের সময় ঘরের সবাই ঘুমে যখন মগ্ন তখনই পাশের বাড়ির সন্ত্রাসী আবদুর রহিম, দিলদার, খুরশীদ, ছৈয়দ নুরসহ একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ঘরে হামলা চালায়। তারা ঘরের বেড়া কেটে ভিতরে ঢুকে ননা বালাকে বিছানা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। দরিদ্র দিনমজুর এলাকাবাসীকে জানালে তারা অপহৃত কন্যাকে উদ্ধার করে দেয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু কেউই এগিয়ে আসেনি সন্ত্রাসীদের ভয়ে। গত ১৭ জুন সুধাংশু এ ব্যাপারে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে ম্যাজিস্ট্রেট সদর থানার পুলিশকে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ প্রদান করেন।
দৈনিক জনকণ্ঠ, ২১ জুন ২০০২