করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ধর্মীয় ওয়েবসাইটগুলোতে মানুষের বাড়তি মনোযোগের সুযোগে জঙ্গিরা ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনার চার বছর পূর্তিতে ১ জুলাই বুধবার সকালে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সামনে তিনি একথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, মহামারীর মধ্যে বাসায় বসে মানুষ ধর্মীয় সাইটগুলো বেশি দেখছে। আর এই সুযোগে জঙ্গিরা তাদের ব্যাপক প্রচারণা চলাচ্ছে।
“তারা একাকি বা ‘লোন উলফ’ হামলার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করছে। প্রয়োজনে হাতুড়ি নিয়ে হলেও পুলিশের উপর হামলার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছে।”
তবে তাদের হামলা পরিচালনার সক্ষমতা তলানিতে নেমে এসেছে দাবি করেন ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, ঘটনার পর পুলিশের নিরাপত্তা ঢেলে সাজানোর পাশপাশি জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়েও ধারণা পাওয়া গেছে।
“তাদের যে কার্যকলাপ ছিল তা একের পর এক গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের সক্ষমতা সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে এসেছে।”
নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জঙ্গি দমনে সফলতা ধরে রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন র্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকাণ্ডের কারণে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাদের যে সক্ষমতা ছিল তা ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
র্যাব এবং পুলিশের দুই কর্তাই দাবি করেন, জঙ্গিদের আর সেভাবে সংগঠিত হওয়ার সুযোগ নেই। তাদের ব্যাপারে সার্বক্ষণিক ‘মনিটরিং’ করা হচ্ছে।
তবে এক্ষেত্রে পরিবারের সকলের সচেতন থাকার প্রয়োজন রয়েছে জানিয়ে তারা বলেন, সকলের সহযোগিতা ছিল বলেই আজকে জঙ্গি দমনে সফলতা পাওয়া গেছে। এই সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে হবে।
জাপান, ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরাও ঘটনাস্থলে এসে শ্রদ্ধা জানান। তবে তারা কোনো কথা না বলে চলে যান।
করোনাভাইরাসের কারণে প্রতি বছরের মতো এবার সকলের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য হলি আর্টিজান বেকারি উন্মুক্ত ছিল না। তারা চলে যাওয়ার পরপরই তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।
২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আটিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ১৭ জন বিদেশিসহ ২২জন মারা যান। পরে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৫ জঙ্গি নিহত হন।