নেত্রকোনায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও সুপারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হলে, গর্ভপাতের জন্য বিভিন্ন ওষুধ খাওয়ান অভিযুক্ত আব্দুল হালিম সাগর। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে নির্যাতিতাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন সাগর।
স্বজনদের অভিযোগ, চার মাস আগে ছাত্রীকে মাদ্রাসার বাথরুমে ধর্ষণ করেন প্রতিষ্ঠাতা ও সুপার আব্দুল হালিম সাগর। পরবর্তীতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হলে তাকে গর্ভপাতের বিভিন্ন ওষুধ খাওয়ান অভিযুক্ত। এক পর্যায়ে রোববার রাতে নির্যাতিতা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপারের হুমকির কারণে কাউকে কিছু জানাতে পারেনি বলে দাবি ভুক্তভোগীর পরিবারের।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বোন বলেন, ধর্ষণ করার পর আমাকে হুমকি দিয়ে বলেছে, এ ঘটনা যদি কাউকে বলে দেই, তাহলে আমার বোনকে মেরে ফেলবে।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, আমার মেয়ে মাদ্রাসার বাথরুমে যাওয়ার সময় ওই শিক্ষক ওর পেছনে দিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ওর মুখ চেপে ধর্ষণ করে, এবং এ ঘটনা যেনো কাউকে না জানায় সে জন্য ভয়ভীতি দেখায়। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী এ তার সঙ্গে ঘটা এ বর্বরতার বিচার দাবি করেন। নির্যাতিতা বর্তমানে শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। পাশাপাশি মেয়েটিকে কাউন্সিলিং করা হচ্ছে।
নেত্রকোনা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার একরামুল হাসান বলেন, আমরা যতটুকু পারছি চেষ্টা করছি ওকে মেন্টাল সার্পোট দেয়ার জন্য। যাতে ওই বিষয়টা থেকে সে বের হয়ে সুস্থ হয়ে ওঠে।
নেত্রকোনা ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের প্রোগ্রাম কর্মকর্তা এস এম এ সেলিম বলেন, কলার সাথে কোন একটা জিনিস মিশিয়ে তাকে খাওয়ানোর পর তার রক্তপাত শুরু হয়। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের পক্ষ থেকে তাকে আইনি পরামর্শ ও সেবার বিষয়ে সহায়তা করছি।
এ ঘটনায় কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা করেছেন নির্যাতিতার বাবা। অভিযুক্ত আব্দুল হালিম সাগর এখনো পলাতক।