যশোরের শার্শা উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি এবং সহায়তার অভিযোগে বাগআঁচড়া সাতমাইল মহিলা আলিম মাদ্রাসার সুপারসহ চার শিক্ষককে বুধবার (০১ মে) রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত রবিবার ক্লাস নেয়ার সময় মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক শরিফুল ইসলাম পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করে। তাৎক্ষণিকভাবে ওই ছাত্রী ঘটনাটি তার শিক্ষিকা শাহানাজকে জানায় এবং বাড়িতে ফিরে মা-বাবাকে কাছে ঘটনা খুলে বলে। ওই শিক্ষার্থীর বাবা মাদ্রাসা সুপার মহসীন কবীরকে বিষয়টি জানান। সুপার বিচারের আশ্বাস দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এদিকে, বিচার না পেয়ে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ওই শিক্ষার্থীর বাবা গণমাধ্যমকর্মীদের জানালে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। বুধবার রাতেই পুলিশ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এবং তার বাবার জবানবন্দি নেয়। পরে অভিযুক্ত শিক্ষক শরিফুল ইসলাম এবং তাকে সহায়তা করার অভিযোগে মাদ্রাসা সুপার মহসীন কবীর, সহকারী শিক্ষক জামাল হোসেন এবং অভিভাবক সদস্য নুরুল ইসলামসহ ৪ জনকে পুলিশ আটক করা হয়।
জানা গেছে, শিক্ষক শরিফুল ইসলাম প্রায়দিনই ওই শিক্ষার্থীকে উত্যক্ত করতো। কিন্তু লজ্জা এবং ভয়ে প্রথমে সে কাউকে বিষয়টি জানায়নি। একসময় সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেলে সে বিষয়টি অভিভাবকদের কাছে খুলে বলে।
তবে, ‘মাদ্রাসার সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ার’ অজুহাতে কয়েকজন শিক্ষক এবং পরিচালনা কমিটির লোকজন ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বুধবার (০১ মে) সকালে ৪ জনকে আসামি করে শার্শা থানায় একটি মামলা করেছে।
শার্শা থানার ওসি এম মশিউর রহমান চারজনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।