সারাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অমানবিক নির্যাতনের প্রতিবাদে এবার শারদীয় দুর্গোৎসবে কোন আলোকসজ্জা ও সাংকেতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে না সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটি। গত ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় ঐক্যজোট জয়লাভ করার পর থেকে সারাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নেমে আসে অবর্ণনীয় নির্যাতন। তাদের বাড়িঘরে আগুন দেয়া, জমি দখল করে নেয়া থেকে শুরু করে হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীদের নির্বিচারে ধর্ষণ করা হচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃত্ববৃন্দ বিদায়ী প্রধান উপদেষ্টা লতিফুর রহমান, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম এ সাঈদসহ বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীর কাছে এই নির্যাতনের প্রতিকার চেয়েও কোন ফল পায়নি। উল্টো লতিফুর রহমান, বেগম জিয়া, বিএনপির মহাসচিব মান্নান ভূঁইয়া, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন বলেছেন, এটা একটি মহলের উদ্দ্যেশ্যমূলক ষড়যন্ত্র। এটা কিছু পত্রপত্রিকায় অতিরঞ্জিত করে দেখানো হচ্ছে। অথচ প্রত্যক চিত্র হচ্ছে যা ঘটেছে তার শতভাগের এক ভাগও প্রকাশিত হচ্ছে না পত্রপত্রিকায়। এই পরিস্থিতিতে শঙ্কিত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষরা এবারের পূজায় কোন উৎসব করবেনা এবারের শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হবে ২২ অক্টোবর থেকে।
দৈনিক মুক্তকন্ঠ, ১৪ অক্টোবর ২০০১